বাগমারায় অসুস্থ ইগল উদ্ধার করে ইউএনও অফিসে দিলেন কৃষক
টুইট ডেস্ক : রাজশাহীর বাগমারায় একটি আহত ইগল মাটিতে পড়ে থাকলেও অনেকে ভয়ে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেননি। তবে সাহসিকতা দেখিয়ে স্থানীয় কৃষক বাবু হোসেন পাখিটিকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে হস্তান্তর করেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার একটি আমবাগান থেকে এ ইগলটি উদ্ধার করা হয়।
আউচপাড়া গ্রামের কৃষক বাবু হোসেন (৫১) জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাঠে ঘাস সংগ্রহের পথে খুঁজিপুর গ্রামের এক আমবাগানে মাটিতে পড়ে থাকা একটি বড় ইগল দেখতে পান। উড়ানোর চেষ্টা করলেও সেটি উড়তে পারছিল না। কাছে গিয়ে তিনি দেখেন, ইগলটির বাঁ পা দিয়ে রক্ত ঝরছে। পরে সাহস করে পাখিটিকে লোকালয়ে নিয়ে আসেন এবং স্থানীয় প্রাণিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে ডেকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসার পর ইগলটি কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুটি ইগল আকাশে লড়াই করতে করতে মাটিতে পড়ে যায়। এর মধ্যে একটি উড়ে গেলেও অন্যটি আহত অবস্থায় পড়ে থাকে। ভয়ে কেউ উদ্ধার না করলেও দুপুরে বাবু হোসেন পাখিটিকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেন।
পল্লি প্রাণিচিকিৎসক আনোয়ার হোসেন বলেন, “বাবু হোসেন আমাকে ডেকে ইগলটির চিকিৎসা করান। এর বাঁ পায়ে গভীর ক্ষত ছিল। সম্ভবত আরেকটি ইগলের সঙ্গে লড়াইয়ের কারণেই এমন হয়েছে। পাখিটির ওজন প্রায় চার কেজি।”
পরে ইগলটিকে ইউএনও মাহবুবুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হলে তিনি বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। ইউএনও বলেন, “কৃষক বাবু হোসেনের সচেতনতার কারণেই ইগলটি বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। আমরা এটিকে চিকিৎসা শেষে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠাবো।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, ইউএনওর মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে ইগলটির চিকিৎসা দেওয়া হয়। পায়ে আঘাত থাকায় এটি উড়তে পারছিল না। জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এটিকে সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হবে।
কৃষক বাবু হোসেন জানান, “একটি অসহায় প্রাণকে বাঁচাতে পেরে আমার খুব ভালো লাগছে।”