পাকিস্তান-চীন-আফ্রিকা: গোয়াদার করিডর ভারতের বিনিয়োগের চ্যালেঞ্জ
পাকিস্তান-চীনের গোয়াদার-আফ্রিকা করিডর – ভারতের চাবাহার নিষেধাজ্ঞার পর নতুন ধাপ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তান ও চীন গোয়াদার-আফ্রিকা করিডর চালু করেছে, যা পরবর্তী পাঁচ বছরে ৫টি ফিডার রুট এবং গুদাম নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। এই পদক্ষেপ ভারতের চাবাহার বন্দরের উপর নিষেধাজ্ঞার পর এসেছে।
বিষয়টি ট্যাকটিক্যাল ট্রিবিউন (@TacticalTribun) এর ২১ সেপ্টেম্বরের পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে এক ছবিও সংযুক্ত করা হয়েছিল।
গোয়াদার বন্দর চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) এবং চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI)-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর সমুদ্রপথের ২০২৫-২৯ অ্যাকশন প্ল্যান অনুযায়ী গোয়াদারকে আফ্রিকা-সংযুক্ত বাণিজ্য হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ৫টি ফিডার রুট (যেমন: গোয়াদার-কেনিয়া, গোয়াদার-দক্ষিণ আফ্রিকা), বন্ডেড ওয়্যারহাউস স্থাপন এবং গোয়াদার ফ্রি জোনকে শক্তিশালী করা।
ফ্রি জোনে ১৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প। এছাড়া চীন থেকে গাড়ি উৎপাদন প্ল্যান্ট স্থানান্তরিত করা হবে। এই উদ্যোগ চীনের “গ্রিন এনার্জি অ্যান্ড ওশান” লক্ষ্য এবং BRI-এর পরিবেশ-বান্ধব নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
সামরিক ও ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে গোয়াদার করিডরের গুরুত্ব বিশেষ। ভারতের চাবাহার বন্দর, যা আফগানিস্তান-মধ্য এশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, ট্রাম্প প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কারণে সীমাবদ্ধ হয়েছে। ফলে গোয়াদার-আফ্রিকা করিডর ভারতের বিনিয়োগ এবং কৌশলগত প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ করছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই করিডর অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে চীনের উপস্থিতি শক্তিশালী হচ্ছে, যা ভারতের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
পাকিস্তান-চীনের গোয়াদার-আফ্রিকা করিডর ভারতের চাবাহার বিনিয়োগের বিকল্প হিসেবে কাজ করছে এবং এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছে।