ভারতীয় রাজনীতিকের বিতর্কিত হুঙ্কার: “চট্টগ্রাম বন্দর দখল অপরিহার্য”
টু্ইট ডেস্ক: ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘আবার মহান’ করার আহ্বান জানিয়ে টিপ্রা মোথা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা একটি বিতর্কিত প্রস্তাব দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
প্রদ্যোত দেববর্মা বলেছেন, ভারতের উচিত চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চল এবং তাদের পুরোনো জমি পুনরুদ্ধার করা। তিনি মনে করেন, বর্তমান সীমান্ত কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক সীমান্ত না হলে সাংস্কৃতিক সীমান্ত স্থাপন করা উচিত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, উত্তর-পূর্ব ভারত ভূমিবেষ্টিত। দেববর্মা বলেন, “ইউনূসের ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে হলে চট্টগ্রাম বন্দর দখল অপরিহার্য। এটি আমাদের অর্থনৈতিক টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন।”
ত্রিপুরার সাবেক রাজপরিবারের বংশধর দেববর্মা ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রভাব এবং ত্রিপুরার ভারতীয় সংযুক্তির ইতিহাসও স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বৃহত্তর ত্রিপুরাল্যান্ড গঠনের জন্য পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে মোকাবিলা করতে হবে এবং পার্বত্য অঞ্চলের জমি পুনরুদ্ধার করতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গণভোট বা ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। “শাসন পরিবর্তন স্পষ্ট। একটি শক্তিশালী, দীর্ঘমেয়াদী নেতৃত্ব দরকার, যারা আগামী ২০ বছর পর এই অঞ্চলের অবস্থান পরিকল্পনা করবে। আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে রাজনৈতিক ও মানবিক সমস্যা চলছে, যেমন রোহিঙ্গা ইস্যু, আরাকান সেনাবাহিনীর বিশৃঙ্খল অবস্থা,” – বলেন দেববর্মা।
টিপ্রা মোথা পার্টির প্রধান আরও দাবি করেন, বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক টিকে থাকার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর অপরিহার্য। তিনি বলেন, “ত্রিপুরার জন্য নয়, পুরো উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য এটি প্রয়োজনীয়। জাপান, চীন ও পূর্বের প্রজাতন্ত্রগুলো আমাদের সমর্থন দেবে।”
বৃহত্তর ত্রিপুরাল্যান্ডের ধারণা প্রথমে একটি এনজিও হিসেবে শুরু হয়েছিল এবং ২০২১ সালে এটি রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়। দেববর্মার এই প্রস্তাব নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে।