রাজশাহী-৪ : কোলাকুলি করে রাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৩ অফিসে আগুন

টুইট ডেস্ক : জেলা প্রশাসক, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় কোনো প্রকার সহিংসতা না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোলাকুলি করেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক ও আবুল কালাম আজাদ।

উভয় পক্ষ ভোটের মাঠে আর কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই ভোট করার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরই স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলের তিনটি নির্বাচনী অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজশাহী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের কাঁচি প্রতীকের ২৯টি নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে নৌকা সমর্থকদের হামলায় কাঁচি প্রতীকের ৫২ জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুলের প্রতিনিধির অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বাগমারা থানা পুলিশ ও জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তিনটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, ‘সোমবার বিকেলে জেলা রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে কালাম ও আমাকে ডাকা হয়েছিল। সেখানে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ ও পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানসহ সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

“কালাম অঙ্গীকার করেছিলেন বাগমারায় আর কোনো সহিংসতা হবে না” কিন্তু কালাম কথা রাখেনি। রাতে আমার তিনটি নির্বাচনী অফিস আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গভীর রাতে কে কার অফিসে আগুন দিয়েছে তা বলতে পারছি না। তবে আমার লোকজন এটা করেনি।’

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, কাঁচি প্রতীকের তিনটি নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলেন, ‘সোমবার এই আসনের প্রধান দুই প্রার্থীকে আমরা ডেকে কঠোর ভাষায় সতর্ক করেছি। এরপরও যদি কেউ সতর্ক ও সংযমী না হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’