ট্রাম্পের নতুন কৌশল: মোদীকে শুভেচ্ছা, পাকিস্তানকে গুরুত্ব
ইউএনজিএ অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে নতুন প্রশ্ন তুলতে পারে।
বিশ্ব ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-ভিত্তিক কূটনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আবারো সরব হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা দেওয়ার পরও তিনি reportedly জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।
এই সম্ভাব্য বৈঠক কেবল সৌজন্যমূলক নয়; দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্য ও মার্কিন নীতি-নির্ধারণে তা নতুন ইঙ্গিত বহন করছে।
মোদী-ট্রাম্প সম্পর্ক
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে মোদীকে বারবার প্রশংসা করা সত্য। তবে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তিনি কড়া সমালোচনাও করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য-ঘাটতি, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও হাইটেক সামরিক সহযোগিতাকে ট্রাম্প অতীতে বিষয়ভিত্তিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখেছেন। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্ভাব্য বৈঠক ভারতীয় নীতি বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানকে ঘনিষ্ঠ করার কৌশল
ট্রাম্প প্রশাসন—অথবা ব্যক্তিগতভাবে তার কৌশল—দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও আফগানিস্তান প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখার প্রবণতা পোষণ করে। এই বৈঠকের মাধ্যমে তিনি হয়তো আফগানিস্তান স্থিতিশীলকরণ, সন্ত্রাসবিরোধী নীতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় পাকিস্তানের ভূমিকা পুনর্ব্যক্ত করতে চাইবেন।
দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত প্রভাব
ভারত-পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে প্রতিযোগিতার পরিবেশে রয়েছে। ট্রাম্প যদি পাকিস্তানকে সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক ভারসাম্যে প্রভাব ফেলেন, তবে এটি নয়াদিল্লির জন্য কূটনৈতিক নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যখন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নির্দিষ্ট ক্ষেত্র যেমন বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা চুক্তিতে দৃঢ় বন্ধন বজায় রাখার দিকে নজর রাখছে।
বিশ্লেষকের মন্তব্য
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই সম্ভাব্য পদক্ষেপ “দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত ভারসাম্যে মৃদু ঝড়” সৃষ্টি করতে পারে। মোদীর সঙ্গে সৌজন্যমূলক বার্তা এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বৈঠকের মধ্যবর্তী সামঞ্জস্য ভারত-আমেরিকা সম্পর্ককে কিছুটা চাপের মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
ট্রাম্পের নতুন কূটনৈতিক দিকপাতা ভারতের জন্য সতর্কবার্তা এবং পাকিস্তানের জন্য সম্ভাব্য সুযোগ উভয়ই বহন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক মানচিত্রে এই সম্ভাব্য ঘটনা তাত্ত্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।