ড. ইউনূস: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নতুন জাতি গঠনের সুযোগ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান নতুন জাতি গঠনের এক অমূল্য সুযোগ
টুইট ডেস্ক: রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান আমাদের জাতিকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে তৈরি করার সুযোগ দিয়েছে। আমরা এর কাছে চাইব ছোট জিনিস নাকি পুরো দেশ পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতা।”
বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নির্ধারণ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ও সংলাপ স্থাপনের উদ্দেশ্যে।
ড. ইউনূস তার বক্তব্যে আলাদিনের প্রদীপের গল্প উল্লেখ করে বলেন, “প্রদীপে ঘষা দিলে দৈত্য বেরিয়ে আসে এবং জিজ্ঞেস করে, ‘কী করতে হবে আমাকে?’ আমরা চাইলে তার কাছে ছোট জিনিস চাইতে পারি, চাইলে সারা দুনিয়া। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানও আমাদের জাতিকে একটি দৈত্যের মতো ক্ষমতা দিয়েছে। আমরা এর কাছে চাইব কী—চা নাকি পুরো দুনিয়া?”
তিনি আরও বলেন, “ছোট জিনিসে আটকে যেন বড় জিনিস হারিয়ে না ফেলি। আমাদের এতো সংস্কার করতে হচ্ছে যাতে আবার কখনও সৈরাচার ফিরে না আসে।”
ড. ইউনূস সমঝোতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “সমঝোতার রাস্তায় আমরা শুরু করেছি, সেখানে থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নতুন বাংলাদেশ গঠনের একমাত্র সমাধান হলো এই সমঝোতার মধ্য দিয়ে যাওয়া। নানা যুক্তি দেওয়া যায়, কিন্তু চূড়ান্ত সমাধান এখানেই।”
তিনি উল্লেখ করেন, ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থান জাতিকে নতুনভাবে গড়ে তোলার একমাত্র সুযোগ। এটি দেশের নবযাত্রার পথ সুগম করছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সংস্কার করা আমাদের দায়িত্ব যাতে আবার কখনও আগের অরাজকতা বা সৈরাচার ফিরে না আসে। ছাত্র-জনতার উদ্দীপনা আমাদের নতুন জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ড. ইউনূসের বক্তব্যে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে, দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া একটি সুষ্ঠু, সমৃদ্ধ ও নতুন বাংলাদেশ গঠন সম্ভব নয়।