ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে কর্মসূচি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

জুলাই যোদ্ধাদের ‘অভিনেতা’ বলায় ক্ষুব্ধ জনতা, ফুঁসে উঠছে প্রতিবাদ

টুইট ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনকারীদের নিয়ে কটূক্তি করায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তার মন্তব্যকে ‘অপমানজনক’ ও ‘ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা’ আখ্যা দিয়ে সংগঠনটি প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

সংগঠনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে ফজলুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ ও গণজুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করবে তারা। কর্মসূচির আহ্বানে বলা হয়েছে, “সহ্যের সীমা পেরিয়েছে—এবার আর ছাড় নয়। দলে দলে যোগ দিন।”

সম্প্রতি এক টকশোতে ফজলুর রহমান বলেন, “যারা ৫ আগস্ট ঘটাইছে, সেই কালো শক্তির নাম জামায়াতে ইসলাম। তাদের অগ্রগামী শক্তি হলো ইসলামী ছাত্রশিবির। সারজিস আলমরা এর অভিনয় করেছে। আমি তাদের নেতা বলতে চাই না, বরং অভিনেতা বলব। মানুষ বুঝে গেছে, এরা রাজাকারের বাচ্চা।”

এছাড়া তিনি দাবি করেন, বিএনপি নির্বাচন হলে “আল্লাহর রহমতে দুই-তৃতীয়াংশ সিট পেয়ে ক্ষমতায় আসবে।”

জনগণের প্রতিক্রিয়া

ফজলুর রহমানের বক্তব্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বলছেন—

“যারা প্রাণ দিয়েছে, তারা কোনো অভিনেতা নয়—তারা শহীদ।”

“গণঅভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র বলা মানে জনগণকে অপমান করা।”

“রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিয়ে আন্দোলনকারীদের দমানো যাবে না।”

“এ ধরনের মন্তব্য প্রমাণ করে তারা জনগণের শক্তিকে ভয় পাচ্ছে।”

অনেকে মনে করছেন, আন্দোলনের নেতৃত্বকে ‘অভিনেতা’ বলা আসলে স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে হেয় করার চেষ্টা।

জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের কারণে রাজপথ থেকে শুরু করে অনলাইনে ক্ষোভ বাড়ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কর্মসূচি এরই বহিঃপ্রকাশ। জনগণের মতে, গণআন্দোলন কোনো ষড়যন্ত্র নয়—এটি বেঁচে থাকার লড়াই, আর সেই লড়াইকে অপমান করলে ইতিহাসই তার জবাব দেবে।