রোহিঙ্গা ক্যম্পে অবৈধ বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট
উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যম্পের বনভূমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার। স্থানীয় রাজনৈতিক সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।
সিদ্দিকুর রহমান, কক্সবাজার: উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বন বিভাগের জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ হাটবাজার, যা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পতিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতারা এখনও শত শত একর বনভূমি দখল করে বাজার পরিচালনা করছেন।
পালংখালী ইউনিয়নের ১৩ ও ১৯ নম্বর ক্যাম্পে আলমগীর, সরওয়ার ও নিশানের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে আলমগীর বাজার, সরওয়ার বাজার ও আলম বাজার। এসব বাজারে রোহিঙ্গারা ব্যবসা চালিয়ে থাকে, তবে বৈধ ট্রেড লাইসেন্স বা কতৃপক্ষের ছাড়পত্র নেই। অভিযোগ আছে, কোটি কোটি টাকা আয়ের একটি অংশ সিন্ডিকেটের অন্য অপকর্ম, যেমন ছিনতাই, ডাকাতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে ব্যবহৃত হয়।
বাজারগুলোতে রয়েছে মুদির দোকান, ফার্মেসি, কাঁচা তরি-তরকারি, হোটেল, ট্রি স্টল, গ্যাস স্ট্যান্ড, রকমারি স্টোর, মাছ-মাংসের দোকান, কাপড় ও মোবাইলের দোকান, জুয়েলার্সসহ বিভিন্ন ব্যবসা। এসব দোকানগুলোতে স্থানীয় সরকার ও উপজেলা পরিষদকে কর ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, অবৈধভাবে বাজার গড়ে ওঠায় তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রোহিঙ্গা আগমনের আগে বন বিভাগের জায়গায় চারা রোপণ ও প্লট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা, কিন্তু এখন এই জায়গাগুলো দখল করেছে রাজনৈতিক নেতারা।
প্রতিক্রিয়া ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ:
বন বিভাগের উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান জানিয়েছেন, উচ্ছেদ অভিযান শিগগিরই শুরু হবে।
১৩ ও ১৯ নম্বর ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ আল ইমরান বলছেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন মহল এবং ছাত্র প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেল উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বনভূমিতে অবৈধ বাজার গড়ে তুলে সিন্ডিকেট স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করছে, কোটি কোটি টাকা আয়ের অংশ অন্য অপকর্মে ব্যবহৃত হচ্ছে, এবং ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।