আর ওপেনিংয়ে দেখা যাবে না বাবর-রিজওয়ানকে
খেলা ডেস্ক : অধিনায়ক থাকাকালে পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার অনেকটা বাবর আজমের চাওয়া অনুযায়ী হতো বলে অভিযোগ শোনা যায়। যা নিয়ে মাঝে সমালোচনাও করেছিলেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা।
বিশেষত টি-টোয়েন্টিতে বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিংয়ে নামার বিষয়টি অনেকেই ভালো চোখে দেখেননি। এখন আর নেতৃত্বের ভার নেই বাবরের ওপর। ফলে তার সময়ে দেখা ব্যাটিং অর্ডারেও পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম।
আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। যেখানে শাহিনের অধীনে খেলবেন সাবেক অধিনায়ক বাবরও।
ওই সিরিজেই বাবর-রিজওয়ানের পরিবর্তে তরুণ ক্রিকেটারদের দিয়ে পাকিস্তানের ওপেনিং শুরুর কথা শোনা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে নাকি সায়েম আইয়ুবের সঙ্গে বাবর কিংবা রিজওয়ানকে ওপেনিংয়ে নামানোর কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, পিসিবি সূত্র জানিয়েছে, বাবর যদি ওপেন করেন, তাহলে ওয়ান ডাউনে নামবেন রিজওয়ান। একইভাবে রিজওয়ানকে ওপেনে এবং বাবরকে তিন নম্বরেও খেলতে হতে পারে।
এমনকি দুয়েক ম্যাচে বিশ্রামেও রাখা হতে পারে এই দুই তারকা ক্রিকেটারকে। পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টে পরামর্শ এসেছে ব্যাটিং অর্ডারের চার নম্বরে ফখর জামান এবং এরপর ইফতিখার আহমেদ ও আজম খানকে নামাতে।
এমন গুঞ্জনের অনেকটা সত্যতা পাওয়া যায় পাকিস্তানের ঘোষিত টি-টোয়েন্টির স্কোয়াডে নজর দিলে। যেখানে ১৭ সদস্যের দলে তিনজন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানকে রাখা হয়েছে।
রিজওয়ান, আজম ও নতুন করে ডাক পাওয়া হাসিবুল্লাহ খান তিনজনকে পালাবদল করে উইকেটের পেছনে দেখা যেতে পারে। রিজওয়ান খেললে কিপিংয়ের সম্ভাবনা রয়েছে আজমের।
শাহিন আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন টি-টোয়েন্টি দলে বেশ কয়েকজন তরুণ ক্রিকেটারকে রেখেছে পিসিবি। আব্বাস আফ্রিদি ও হাসিবুল্লাহ প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন এই দলে। এছাড়া আছেন তরুণ ক্রিকেটার সায়েম আইয়ুব ও শাহিবজাদা ফারহান।
ফখর, বাবর ও রিজওয়ানের পাশাপাশি এই তরুণদেরও এই সিরিজে বাজিয়ে দেখতে চায় পাকিস্তান। মূলত পরবর্তী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখেই তারা দল গোছাতে চায়। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টির পরবর্তী আসর অনুষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তান স্কোয়াড : শাহিন আফ্রিদি (অধিনায়ক), বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফখর জামান, সায়েম আইয়ুব, শাহিবজাদা ফারহান, হাসিবুল্লাহ খান, ইফতিখার আহমেদ, আজম খান, আমের জামাল, আব্বাস আফ্রিদি, ওয়াসিম জুনিয়র, মোহাম্মদ নওয়াজ, আবরার আহমেদ, উসামা মির, হারিস রউফ ও জামান খান।