কক্সবাজারে থানা হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, পুলিশের দাবি আত্মহত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় হেফাজতে দুর্জয় চৌধুরী (২৭) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভোরে থানার হাজতের ভেতরে তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের পরিবার বিষয়টি নিয়ে পুলিশের দায়িত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

নিহত দুর্জয় চকরিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড হিন্দু পাড়া এলাকার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। পরিবার জানায়, সপ্তাহখানেক আগে দুর্জয় ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।

দুর্জয়ের চাচাতো ভাই সঞ্জীব দাস জানান, সকালে থানায় গিয়ে তারা দুর্জয়কে শার্টে পেঁচানো অবস্থায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত দেখেছেন। কিন্তু পায়ের নিচে খুব সামান্য ফাঁকা ছিল এবং হাত লোহার এঙ্গেলের ভেতরে ঢুকানো ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “হাজতের বাইরে কনস্টেবল থাকার কথা, তাহলে তিনি কোথায় ছিলেন?”

পরিবার আরও অভিযোগ করে, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়ের করা ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকার জালিয়াতি মামলায় দুর্জয়কে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও অভিযোগটি প্রমাণিত হয়নি। পরিবারের দাবি, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন দুর্জয়।

চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দুর্জয়কে থানায় সোপর্দ করেন। এরপর রাত ১১টায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। তিনি দাবি করেন, থানার সিসিটিভি ফুটেজে দুর্জয়ের কার্যকলাপ দেখা গেছে।

এদিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনার পর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন। তিনি বলেন, “তদন্ত ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টেই আসল ঘটনা পরিষ্কার হবে।”