নির্বাচনের পর কোনো সরকারি পদে থাকব না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
টুইট ডেস্ক: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং নির্বাচন শেষেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রের সব দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন। নির্বাচনের পর গঠিত সরকারে তিনি কোনো পদে থাকবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেসারাট নিউজে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) তিনি এ কথা জানান। সেখানে তিনি গত বছরের গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ, সংস্কার কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।
ড. ইউনূস বলেন, “জাতীয় নির্বাচন আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে। এরপর যে সরকার আসবে সেখানে নির্বাচিত বা নিযুক্ত কোনো পদে আমি থাকব না। আমাদের সরকারের মূল লক্ষ্য একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের ভেতর ও বাইরে থাকা সব বৈধ ভোটার যেন ভোট দিতে পারেন, সেটিই হবে তাদের প্রধান দায়িত্ব। পাশাপাশি তিনি গণঅভ্যুত্থানে নিহত ও আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া, লুটপাট হওয়া অর্থ উদ্ধারের অগ্রগতি, অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
নিবন্ধে প্রফেসর ইউনূস জানান, বিগত সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থার কারণে দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার ধীরে ধীরে পুনর্গঠন কাজ শুরু করেছে। রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে।
তিনি লেখেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য শুধু নির্বাচন নয়, এমন একটি সাংবিধানিক সংস্কার নিশ্চিত করা যাতে বাংলাদেশ আর কখনো স্বৈরাচারের শাসনে না ফেরে।”
ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক মহলের সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তার মতে, “বাংলাদেশ যদি শেষ পর্যন্ত এমন একটি দেশে পরিণত হয় যেখানে সব মানুষ নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারে, তবে তা হবে লাখো বাংলাদেশির সাহস ও দৃঢ়তার ফল।”