নাটোরে স্বতন্ত্রের ২ কর্মীর হাত-পা ‘ভেঙে দিল’ নৌকার সমর্থকরা

নাটোরের গুরুদাসপুরে হামলায় গুরুতর আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । ছবি: সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হাত-পা ভেঙে দিয়েছে নৌকার কর্মীরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নাজিরপুর গোডাউন মোড় এ হামলার ঘটনায় নোকার প্রার্থী ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর গোডাউন মোড় এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গত রোববার নৌকার সমর্থক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আলম ও আল-আমিন স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ’র সমর্থক জালাল শাহকে পিটিয়ে জখম করে। সেই মামলায় মঙ্গলবার জামিনে বেরিয়ে এসেই আলম ও আল-আমিন এবং তাদের সহযোগীরা আরো দুই সমর্থককে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে জখম করেন তারা।

আহতরা হলেন, নাজিরপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম (৩২) এবং একই ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৫)। আহতদের মধ্যে শরিফুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত শরিফুল ইসলাম বলেন, নৌকার সমর্থক ও নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে না থাকার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু আয়ুব চেয়ারম্যানের প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি। এরই জের ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইউপি সদস্য আলম, স্থানীয় আল-আমিনসহ ৮ থেকে ১০জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। তারা তাকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতারি পিটিয়ে জখম করেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাহনিক বলেন, শরিফুলের ডান হাত এবং বাম পায়ের হাঁটুর নিচে একাধিক স্থানে ভেঙে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত সিরাজুলের শরীরে বেশকিছু জখমের রয়েছে।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব আলী বলেন, আহত শরিফুল এবং সিরাজুল তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নন। মূলত ইউপি সদস্য আলম সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে তাদের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। এতে তার বা নৌকা সমর্থকদের কোনো হাত নেই।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আব্দুল্লাহ বিন কুদ্দুস শোভন বলেন, আহত দু’জন তার সমর্থক। একের পর এক তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন নৌকা সমর্থকরা।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ আবদুল্লাহ বিন কুদ্দুস আরোও বলেন, তাঁর বাবা আবদুল কুদ্দুস এ আসনে পাঁচবারের সংসদ সদস্য এবং তিন মেয়াদে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ৩০ আগস্ট তাঁর বাবার মৃত্যুর পর নির্বাচনী এলাকার নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সমর্থনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. উজ্জল হোসেন বলেন, হামলাকারীরা জামিনে এসে আবারও হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।