চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পটিয়ায় ব্যাংক অবরোধ, ৪৫ ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ

চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে পটিয়ায় ব্যাংক অবরোধ। ছবি : ইত্তেফাক

পটিয়ায় চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে ৪৫ ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ, বিক্ষোভে উত্তেজনা।

পটিয়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের পটিয়ায় চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম অবরুদ্ধ করে রেখেছেন চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার (১০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনের কারণে ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, পূর্বালী ব্যাংকসহ প্রায় ৪৫টি ব্যাংকের শাখা ও উপশাখায় লেনদেন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।

আন্দোলনকারীদের দাবি, তারা সবাই এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যাংকের অধীনে কর্মরত ছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কোনও পূর্ব নোটিশ ছাড়াই প্রায় ৭,০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের চাকরি পুনর্বহালের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, যা তাদেরকে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করেছে।

রোববার সকাল থেকে আন্দোলনকারীরা পটিয়া শহরের বিভিন্ন ব্যাংকে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। তারা ব্যাংকগুলোর প্রধান ফটকে তালা দিয়ে লেনদেন বন্ধ করে দেন।

পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থিত ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি শাখা চালু করার চেষ্টা করলে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুল ইসলাম ও পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামান। তারা আন্দোলনকারীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করেন।

আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তাদের চাকরি ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে এবং কেউ ব্যাংক চালু করতে এলে তারা তা বাধাগ্রস্ত করবেন।

চাকরি হারানো ব্যাংকারদের পাশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন। উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ফ্রন্ট পটিয়া শাখার সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু, গণঅধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ডা. এমদাদুল হক, কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান রিপনসহ আরও অনেকে।

আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পটিয়ার সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে।

বর্তমানে পটিয়ার ব্যাংকপাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বড় কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।