মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে যু-দ্ধের শঙ্কা, মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্ব ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থিতিশীলতাকে চরম হুমকির মুখে ফেলেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার চলমান সীমান্ত সংঘাত। ক্রমাগত উত্তেজনার মধ্যে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই আজ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পক্ষ থেকে আসা মধ্যস্থতার প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, “এই সীমান্ত সংঘর্ষ যেকোনো সময় একটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।”
জাতিসংঘের জরুরি বৈঠক
বিকেলে থাইল্যান্ডের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতির পরপরই জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ শনিবার রাত ১০টায় (জিএমটি) এক জরুরি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সম্ভাব্য মানবিক সংকট এবং সংঘর্ষ প্রশমনের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মুখপাত্র।
মানবিক বিপর্যয়: ১ লাখ ৩০ হাজার বাস্তুচ্যুত
থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলি ও সংঘর্ষের কারণে ইতোমধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়েছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে খাদ্য, পানি ও ওষুধের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
সংঘাতের পেছনের কারণ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তবর্তী প্রাচীন মন্দির প্রাঙ্গণ এবং মূল্যবান খনিজ সম্পদসম্পন্ন এলাকাকে কেন্দ্র করে বহুদিন ধরেই থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উভয় পক্ষই সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করেছে, যার ফলে উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়েই শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে একাধিকবার আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিল।
থাই সরকার সাফ জানিয়ে দেয়, “এই সংকট আমাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রশ্ন। আমরা কোনো বিদেশি চাপ বা মধ্যস্থতা গ্রহণ করবো না।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই সংঘাত যদি দ্রুত থামানো না যায়, তবে তা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে আরও নাজুক করে তুলবে এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।