গোপালগঞ্জে হামলার নির্দেশ ডেভিল রানীর! ফেসবুক পোস্টে সো‌হেল তাজ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের হত্যার পরিকল্পনা ছিল।
  • গোপালগঞ্জে হামলার পেছনে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতৃত্ব ধ্বংসের পরিকল্পনা।

টুইট ডেস্ক: গোপালগঞ্জে গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ওপর বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়ে একটি তীব্র বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী পরিবারের সদস্য সো‌হেল তাজ।

তিনি তার পোস্টে ইঙ্গিত করেছেন, এই হামলা নিছক একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি ছিল সুপরিকল্পিত একটি হত্যাচেষ্টা।

তিনি লিখেছেন—

“আমি মনে করি গতকাল ১৬ জুলাই ২০২৫ গোপালগঞ্জে যে হামলা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই-অগাস্ট গণঅভুত্থানের (নাহিদ, সার্জিস, হাসনাত, জারা) নেতাদের হত্যার একটি হীন চেষ্টা। আমি আশ্চর্য হবো না যদি ডেভিল রানী নিজেই এর নির্দেশ দিয়ে থাকেন।”

এই বক্তব্যে তিনি সরাসরি ইঙ্গিত করেন যে দেশের শীর্ষপর্যায় থেকে এমন হামলার নির্দেশনা এসে থাকতে পারে।

তার ভাষায়,

“আত্মউপলব্ধি এবং অনুশোচনা তো দূরে থাক— হত্যা, গুম, খুন, গণহত্যা, নির্যাতন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ধ্বংস করে, দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে দেশটাকে শেষ করে ছাত্র-জনতার ঝাঁটা পেটা খেয়ে পালিয়ে যেয়ে এখন দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। সারা বাংলাদেশে গোপালগঞ্জের মত সন্ত্রাসী কায়দায় কার্যকলাপ চালাবার নির্দেশ দিচ্ছে।”

এই ফেসবুক পোস্টে তিনি তীব্রভাবে আক্রমণ করেছেন ক্ষমতার কেন্দ্রস্থলে থাকা সা‌বেক-বর্তমান কিছু ব্যক্তিকে, যাদের তিনি ‘ডেভিল রানী’ বলে উল্লেখ করেছেন— যা রাজনৈতিক মহলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, গোপালগঞ্জের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন হামলা নয়, বরং এটি একটি ভয়ঙ্কর পূর্বপরিকল্পিত সহিংসতা যার মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ও গণতন্ত্রপন্থী ছাত্র-জনতার নেতাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এদিকে এনসিপি এবং ভুক্তভোগী নেতাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় গাড়িতে ছিলেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সার্জিস আলম এবং অন‌্যরা।

সো‌হেল তাজের এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। তার মত একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি যখন এমন অভিযোগ উত্থাপন করেন, তখন তা শুধু রাজনৈতিক নয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সরকারি কোনো পক্ষ থেকে সো‌হেল তাজের এই পোস্টের প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তার বক্তব্য আসন্ন রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলবে।