চাটুকার বাদ দিন, উত্তরবঙ্গ থেকে উপদেষ্টা নিন — বৈষম্যের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে জেগে উঠতেই হবে

সম্পাদকীয় | TweetNews24.com

যখন দেশের রাজনৈতিক অবস্থা অস্থির, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা দুর্বল, অর্থনীতি হুমকির মুখে—তখন সরকারের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বুদ্ধিমান, সাহসী, বাস্তবদর্শী উপদেষ্টা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণে ঘিরে আছে কিছু চাটুকার, যারা সত্য বলার সাহস রাখে না, রাখে না জনগণের প্রতিনিধিত্ব।

এই অবস্থায় একটাই স্পষ্ট সমাধান

উত্তরবঙ্গের মতো অবহেলিত অঞ্চলের মাটির মানুষদের, কর্মঠ, সৎ, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন চিন্তাবিদদের উপদেষ্টা হিসেবে এগিয়ে আনা হোক।

দীর্ঘদিন ধরে উত্তরবঙ্গ কেবল ভোটের মাঠে ব্যবহার হয়েছে, উন্নয়ন-পরিকল্পনায় নয়। এখানকার কণ্ঠস্বর দমিয়ে রাখা হয়েছে, অথচ দুর্যোগে, সংগ্রামে, উৎপাদনে এ অঞ্চলের মানুষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আজ সময় এসেছে, উত্তরবঙ্গ শুধু ভোটার নয়—দিশারি হিসেবেও ভূমিকা রাখুক।

চাটুকার দিয়ে রাষ্ট্র চলে না

চাটুকারেরা কেবল প্রশংসার বুলি আউড়ে সরকারকে ভুলপথে চালিত করে। এদের চোখে দেশ উন্নয়নের স্বর্গ, জনগণের চোখে দুর্ভোগের নরক। সত্য গোপন করে আর যাই হোক, রাষ্ট্র রক্ষা হয় না।

বৈষম্য দূর করুন, সমতা আনুন

উন্নয়ন, পদায়ন, সিদ্ধান্ত—সব জায়গায় সমতা জরুরি। দেশের দক্ষিণ, মধ্যাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল—সবার কণ্ঠস্বর একসঙ্গে উচ্চারিত না হলে, এ রাষ্ট্র টিকবে না।

সরকারের প্রতি আহ্বান

পদ ও পরামর্শের যোগ্যতা নির্ধারণে গায়ের রঙ, অঞ্চলের নাম, ঘনিষ্ঠতার রাজনীতি নয়—যোগ্যতা, সততা ও মাঠের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিন।

উত্তরবঙ্গের কণ্ঠস্বরকে জাতীয় পরামর্শমঞ্চে জায়গা দিন।

কেন্দ্রিক রাজনীতির বলয়ে আবদ্ধ না থেকে, জাতিকে সমগ্র ভূখণ্ডের প্রতিনিধিত্বে এগিয়ে নিন।

এখনই সময়—চাটুকার নয়, জনগণের উপদেষ্টা বেছে নিন। উত্তরবঙ্গকে শুধু শোনা নয়, বোঝাও দরকার।

আমরা শুধু উন্নয়নের পরিসংখ্যান চাই না, চাই অন্তর্ভুক্তি।
আমরা শুধু কণ্ঠস্বর চাই না, চাই সিদ্ধান্তে অংশগ্রহণ।