ইরানের বিরুদ্ধে আরও ভয়ংকর হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েলের

ইরানের বিরুদ্ধে আরও বিধ্বংসী হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল: আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদন

বিশ্ব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা নিচ্ছে। সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-আরাবিয়া এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (IDF) ইরানের বিরুদ্ধে নতুন ও আরও বিধ্বংসী সামরিক অভিযান চালানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।

সূত্র অনুযায়ী, এই পরবর্তী দফার হামলা আগের যেকোনো অভিযানের তুলনায় “অত্যন্ত বিস্তৃত ও ধ্বংসাত্মক” হবে।

কী বলছে আল-আরাবিয়া?

আল-আরাবিয়া বলছে, ইসরায়েল বর্তমানে এমন সামরিক কৌশল প্রস্তুত করছে যা কেবল ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলোকেই নয়, বরং ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্র, বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (IRGC) ঘাঁটি এবং গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ অবকাঠামোকেও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করবে।

ইরান চীনের কাছ থেকে HQ-16 বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও নতুন যুদ্ধবিমান সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে, যা ইসরায়েলের কৌশলগত নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছে তেল আবিব।

পাশাপাশি ইসরায়েল ইরানকে হামাস ও হিজবুল্লাহর সরাসরি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে।

সিরিয়া ও ইরাকের ভেতর ইরানি প্রভাব ও অস্ত্র সরবরাহও ইসরায়েলের দৃষ্টিতে হুমকিস্বরূপ।

সম্প্রতি সিরিয়ার দেইর এয্-জোর ও হোমস অঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বহু ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়।
ইরান অভিযোগ করেছে, এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং তা সরাসরি যুদ্ধ প্ররোচনার সামিল।

ইরান এখন HQ-16 কেনা ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোর বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র একদিকে ইসরায়েলের পাশে থাকলেও, সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে অনিচ্ছুক।

সৌদি আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলো কূটনৈতিকভাবে উত্তেজনা কমাতে চায়, কিন্তু আশঙ্কা করছে আঞ্চলিক যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হতে পারে।

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার এই চলমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একপাক্ষিক আক্রমণ বা পাল্টা প্রতিক্রিয়া যে কোনো সময় বৃহৎ আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এখন প্রয়োজন দ্রুত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ ও উত্তেজনা প্রশমন।