এলআর ফান্ডের নামে ইউএনওর চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে লোকাল রিলেশন্স (এলআর) ফান্ডের নামে কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এবার তিনি এলআর ফান্ডের নামে উপজেলার মৎস্যচাষীদের কাছ থেকে টাকা তুলছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মৎসচাষীরা।

গত ৫ ডিসেম্বর ডাক যোগে মৎস্যচাষীদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেন উপজেলার কাকনহাট দরগাপাড়া গ্রামের মৎসচাষী মমিনুল ইসলাম।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর এ সুযোগে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে উপজেলার সকল খাস পুকুরের বিপরীতে খাস আদায়ের ঘোষণা দেন। পুকুরের খাস আদায়ের সঙ্গে অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে এলআর ফান্ডের নামে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোদাগাড়ী উপজেলায় ছোটবড় মিলে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার সরকারি খাস পুকুর রয়েছে। এর মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ২ হাজার খাস পুকুরের তালিকা করে খাস আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন ইউএনও।

পুকুরগুলো টেন্ডারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে লিজ দেওয়ার নিয়ম থাকলেও এবার খাস আদায়ের মাধ্যমে লিজ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে ইউনিয়ন তহসিলদার ও উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামান এর মাধ্যমে এলআর ফান্ডের নামে ৪ হাজার টাকা হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও খাস আদায়ের টাকা চালানোর মধ্যেমে নেয়ার নিয়ম থাকলেও অনেকের কাছ থেকে নগদ টাকা আদায়েরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগে আরো বলা হয়, মহামান্য হাইকোর্ট থেকে কিছুসংখ্যক খাস পুকুর লীজ বহির্ভূত রাখার নির্দেশনা থাকলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম তা অমান্য করে নিজের ইচ্ছামত খাস আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলামের অন্যতম সহযোগী গোদাগাড়ী উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে পূর্বেও বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও অদৃশ্য কারণে বর্তমান কর্মস্থলে বহাল তবিয়তেই চাকরি করে যাচ্ছেন।

এসব বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এ অভিযোগ মোটেও সঠিক নয়; এটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন। শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে। আমি যতদিন আছি কোন ধরনের অনিয়ম করতে দেবো না এই উপজেলাতে।