হরতালে ৩ বাসে আগুন

টুইট ডেস্ক : বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যে রাজধানীর গুলিস্তান, মোহাম্মদপুর ও বংশালে তিনটি বাস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসাইন জানিয়েছেন।

আগুন লাগানোর আগে আগে বাসের যাত্রীরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হুড়মুড় করে নেমে যান, তাই হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে এরশাদ হোসাইনের ভাষ্য।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, সকাল ৯টা ৬ মিনিটে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শেকড় পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগায় একদল লোক। সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়।

এরপর সকাল ১০টা ২২ মিনিটে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার ‘পরিস্থান পরিবহন’ এর একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার খবর আসে। আর ১০ টা ২৮ মিনিটে পুরান ঢাকার বংশালের তাঁতিবাজার মোড় ‘বিহঙ্গ’ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট গিয়ে ‘পরিস্থান পরিবহনের’ আগুন নেভায়। আর সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট পুরান ঢাকায় ‘বিহঙ্গ’ বাসের আগুন নেভায় বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা এরশাদ হোসাইন জানান।

শনিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের পর নয়া পল্টেনর মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে গেলে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। পরে একই কর্মসূচি দেয় জামায়াত। হরতালের মধ্যে চলাচলে বাধা দেওয়া হলে ডিএমপি পুলিশের কাছ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি আসে রাতে।

ঢাকার বাইরে গাজীপুর মহাসড়কের যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেল, মিনি ট্রাক, টঙ্গীতে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুর করা হয় চারটি বাস।

সকালে মানিকগঞ্জের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া হয়। কুমিল্লা নগরীতে হরতালের সমর্থনে বিএনপির মিছিলে পুলিশের ধাওয়া, লাঠিপেটা, টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় হরতাল সমর্থনে সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে দফায় দফায় পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তাতে দুইজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।