ঢাকায় অস্থিরতা: সমঝোতার অভাবে ইউনূসের পদত্যাগের ইঙ্গিত, সেনাপ্রধানের কঠোর বার্তা

টুইট প্রতি‌বেদন: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাবে তার পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান নাহিদ ইসলাম জানান, ইউনূস বলেছেন, “আমি বন্দি হয়ে আছি… আমি এভাবে কাজ করতে পারি না। সব রাজনৈতিক দল কি একটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছাতে পারে না?”

এই পরিস্থিতির মধ্যে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে হবে।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার কেবলমাত্র একটি নির্বাচিত সরকারের রয়েছে।”

এদিকে, দে‌শের বিভিন্ন এলাকায় ছাত্র ও ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে শাহবাগ, কাকরাইল ও সেনানিবাসের আশেপাশে বিক্ষোভের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অবস্থান ধর্মঘট ও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং হেফাজতে ইসলামও বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে এবং নারীর অধিকার সংক্রান্ত প্রস্তাবিত সংস্কারের বিরোধিতা করছে।

এই রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে, ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউনূসের পদত্যাগের হুমকি ও সেনাবাহিনীর চাপের মধ্যে দেশ একটি অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।

এই পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও সংলাপ অপরিহার্য। নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সূচি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সকল পক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন।