রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে উপদেষ্টা ও নেতাদের ফেসবুক পোস্ট

টুইট নিউজ: দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন উত্তপ্ত, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ফেসবুকে প্রকাশিত একাধিক পোস্টে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

ফেসবুক পোস্টে মাহফুজ আলম বলেন, “ব্যক্তিগত আদর্শের চেয়ে দেশ বড়। বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।” তিনি আরও বলেন, সরকারে আর একদিনও থাকলে তিনি অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান রেখে কাজ করতে চান। তাঁর মতে, ঐক্য ও ধৈর্যই এখনকার প্রধান চ্যালেঞ্জ।

জামায়াত আমির শফিকুর রহমান

তিনি জাতীয় স্বার্থে বিতর্ক এড়িয়ে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। দ্বিতীয় পোস্টে তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে ক্ষোভ ভুলে দায়িত্বশীল হতে হবে।”

এনসিপি নেতা আখতার হোসেন

ফেসবুকে লিখেছেন, “জুলাইয়ের গণজাগরণ ফ্যাসিবাদবিরোধীদের ঐক্যের সর্বোচ্চ প্রকাশ। স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন হতে দেওয়া যাবে না।”

এবি পার্টি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু

তাঁর মন্তব্য, “জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিবাদের মূল উপড়ে ফেলা হলেও, বর্তমানে যা হচ্ছে তা অমার্জনীয় ভুল।”

এনসিপির নেতা সারজিস আলম

সরকারি আইন ব্যবস্থার পক্ষপাতিত্ব ও বিচার বিলম্বের অভিযোগ তুলে প্রশ্ন তোলেন, “আইন উপদেষ্টা এই দায় এড়াতে পারেন কি?” পাশাপাশি, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জামিন পাওয়া ও বিচারহীনতার সমালোচনা করেন।

এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ

তিনি বলেন, “দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি অনৈতিক। সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক সালিসের সুযোগ দিলে আবারও ওয়ান-ইলেভেনের পথ প্রশস্ত হতে পারে।” তিনি সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান।

এনসিপির সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ

জুলাই আন্দোলনের ঐক্য বিনষ্টের জন্য তিনি রাজনৈতিক নেতৃত্বের স্বেচ্ছাচারিতা ও আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবকে দায়ী করেন।