সাবেক এমপি চয়ন-কবিতাসহ আওয়ামী লীগের ১৯৬ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

টুইট ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এ হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য চয়ন ইসলাম, মেরিনা জাহান কবিতা, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদীসহ আওয়ামী লীগের ৭৬ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছলাম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

মামলার বাদী পোতাজিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক হামিদুর রহমান তুষার। তিনি গত সোমবার (১২ মে) বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে শাহজাদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ চলাকালে ছাত্র ও জনতার একটি মিছিল করতোয়া ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে অভিযুক্তরা মিছিলে বাধা দেন। মিছিলকারীরা বাধা উপেক্ষা করে এগোতে চাইলে চয়ন ইসলামের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে হামিদুর রহমান তুষারসহ বেশ কয়েকজন আহত হন এবং ঘটনাস্থলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন-চয়ন ইসলামের বোন সাবেক সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, তার ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সুমন করিম, পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা শেখ কাজল, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, সালাম ব্যাপারী, মনসুর মোল্লা, সালাম ফকির, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাদ হায়দার লিটন ও আশিকুর হক দিনার প্রমুখ।

মামলার পরদিন সোমবার রাতে সুমন করিমকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ বিষয়ে ওসি আছলাম আলী বলেন, ‘সুমনের নামে শাহজাদপুর থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। ঢাকাতেও তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে। আপাতত তিনি ডিবি হেফাজতে রয়েছেন। পরবর্তী সময়ে তাকে শাহজাদপুর থানার মামলায় আমাদের হেফাজতে আনা হবে।’