আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে এই সিদ্ধান্তের আওতায় আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) স্থানীয় সময়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ-মুখপাত্র মাইকেল ‘টমি’ পিগট বলেন, “আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়টি জানি। তবে আমরা বাংলাদেশে কোন একক রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না।” তিনি আরও বলেন, “আমরা সবসময় বিশ্বাস করি একটি মুক্ত, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনি ন্যায্যতার প্রতি, যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার সম্মানিত হবে।”

এক প্রশ্নের উত্তরে পিগট বলেন, “আমরা বাংলাদেশসহ সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই যেন তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সংগঠনগুলোর স্বাধীনতাকে সম্মান করে।” তিনি আরও জানান, “আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই এবং এই অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী। আমরা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গেও কাজ করছি।”

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার যথেষ্ট প্রমাণ থাকার কারণে বাংলাদেশ সরকার আওয়ামী লীগসহ এর সব অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। গত ১২ মে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যা সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সইয়ে প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন স্থগিত করেছে।