পাকিস্তানি নাগরিকদের ফেরত পাঠাতে “খোঁজো, ধরো, ফেরত পাঠাও” বিজেপির নতুন কর্মসূচি
বিশ্ব ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান সাংগঠনিক জেলায় পাকিস্তানি নাগরিকদের চিহ্নিত করে দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা শাসকের (ডিএম) কার্যালয়ে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছে। এই কর্মসূচির মূল স্লোগান ছিল: “খোঁজো, ধরো, ফেরত পাঠাও।”
বিজেপির “খোঁজো, ধরো, ফেরত পাঠাও” আন্দোলনটি সোমবার (৫ মে) পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে।
বর্ধমানের পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও একই দাবিতে বিজেপি বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিজেপির উত্তর সাংগঠনিক জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ধর্ণা ও অবস্থান বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বাঁকুড়া জেলার তামলিবাঁধ এলাকায় বিজেপির পক্ষ থেকে এক মহামিছিল করে জেলা শাসকের দপ্তরের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা, সাংগঠনিক জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি, প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার এবং বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
বিজেপির এই কর্মসূচির পেছনে যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকরা দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ। সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নাগরিকের মৃত্যুর পর এই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, এই ধরনের হামলার পেছনে পাকিস্তানি মৌলবাদীদের হাত রয়েছে এবং ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকরা এই কাজে সহায়তা করছে।
এই প্রেক্ষাপটে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ভারত সরকার ইতিমধ্যে ৫ লাখ পাকিস্তানি নাগরিককে চিহ্নিত করেছে এবং শীঘ্রই তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিজেপির এই আন্দোলনের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, এই কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিরোধী দলগুলো এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছে।