কাতার সফর শেষে দেশে সেনাপ্রধান

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি আজ কাতার সফর শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন। সরকারি আমন্ত্রণে সেনাপ্রধান শনিবার (৩ মে ২০২৫) কাতার সফরে যান।

সফরকালীন সময়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কাতারের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

তিনি কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর উপপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসব বৈঠকে সামরিক সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও দক্ষ জনশক্তি বিনিময় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

শনিবার (৩ মে) সফরের প্রথম দিন সেনাবাহিনী প্রধান কাতার অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট মান্যবর শেখ জোয়ান বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় উভয় দেশের অলিম্পিক কমিটির স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও খেলাধুলা বিষয়ক প্রশিক্ষণ, ক্রীড়া অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বাংলাদেশে ‘অলিম্পিক ভিলেজ’ নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় হয়।

পরদিন রবিবার (৪ মে) সেনাপ্রধান পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী শেখ সাউদ বিন আব্দুলরহমান বিন হাসান বিন আলি আল থানি এবং স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুলআজিজ বিন ফয়সাল বিন মুহাম্মদ আল থানির সঙ্গে। আলোচনা হয় স্থানীয় প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তোলা, নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা এবং অভিজ্ঞ সেনা সদস্যদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির বিষয়ে।

সফরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সেনাপ্রধান কাতার সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল জসিম বিন মুহাম্মদ বিন আহমদ আল মানাই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষনার্থী বিনিময়, প্রশিক্ষণ সহায়তা এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের কাতারে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক মতবিনিময় হয়।

এই সফর কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক, ক্রীড়া ও অর্থনৈতিক বিভিন্ন খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতে পারস্পরিক উদ্যোগ ও বিনিময় দুই দেশের সামরিক সক্ষমতা ও সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।