নির্বাচনে মোট ৫৬১টি আপিলের মধ্যে ৩০টি বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে

নির্বাচন কমিশন ভবন : ফাইল ছবি

টুইট ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের (প্রার্থিতা বৈধ বা বাতিল) বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মোট ৫৬১টি আপিল হয়েছে। এর মধ্যে বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে অন্তত ৩০টি। কোনো কোনো আসনের প্রার্থীরা একে অন্যের বিরুদ্ধেও আপিল করেছেন। বাকি আপিলগুলো হয়েছে প্রার্থিতা ফিরে পেতে।

এখন পর্যন্ত মোট বৈধ প্রার্থী ১৯৮৫ জন। এবারের নির্বাচনে মোট ৫৬১টি আপিল হয়েছে।
বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল অন্তত ৩০টি।
২০১৮ সালে ৫৪৬টি আপিল হয়েছিল। এর মধ্যে বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল ছিল ১২টি।

আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিশন আপিল শুনে সিদ্ধান্ত দেবেন।

একাদশ সংসদ (২০১৮ সালে) নির্বাচনের চেয়ে এবার বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। তখন ৫৪৬টি আপিল হয়েছিল। এর মধ্যে বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল ছিল ১২টি।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপিবিহীন এবারের নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে একজনের প্রার্থিতার বিরুদ্ধে অন্যজনের আপিলের মধ্য দিয়ে।

গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ইসিতে আপিলের শেষ দিন শাহজাহান ওমরসহ মোট ১৯ জন বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল হয়। এর আগের চার দিনে অন্তত ১১ জন বৈধ প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল। বেশির ভাগ আপিল হয়েছে তথ্য গোপনের অভিযোগে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। এবার ৩০০ সংসদীয় আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। ইতোমধ্যে এগুলির মধ্যে ৭৩১টি বাতিল হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট বৈধ প্রার্থী ১ হাজার ৯৮৫ জন। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে এবং পরবর্তীতে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা জানা যাবে।