যৌথ বাহিনীর অভিযান: ২৫৯ অপরাধী গ্রেফতার, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মাদক

টুইট ডেস্ক: সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত যৌথ অভিযানে ২৪ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে ২৫৯ জন অপরাধী গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব অভিযানে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীন ইউনিটসমূহের পাশাপাশি র‍্যাব, পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশ নেয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে-হত্যা মামলার পলাতক আসামি, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রধারী, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, অপহরণকারী ও ধর্ষক, প্রতারণা ও চোরাচালানে জড়িত ব্যক্তি, কিশোর গ্যাং সদস্য, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত, মানবপাচার ও দালাল চক্রের সদস্য ।

অভিযানে উদ্ধার করা হয়, ১১টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৫৪ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গুলি, হাতে তৈরি বোমা ও ককটেল, বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র, চোরাই মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন, অবৈধ পাসপোর্ট ও ঔষধ, বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ।

অভিযানে ধৃত ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ও উদ্যোগ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শুধু অপরাধ দমনেই নয়, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সাম্প্রতিক সময়ে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত অস্থিরতা নিরসনে সেনাবাহিনী মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ ও সমঝোতার ব্যবস্থা করেছে। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করে।

সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকা ঘুরে টহল, চেকপোস্ট স্থাপন, এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের পেশাদার ও সুসমন্বিত তৎপরতায় দেশের সাধারণ জনগণ কিছুটা হলেও স্বস্তি অনুভব করছে।

সেনাবাহিনীর আহ্বান

সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ বা অপরাধ সংঘটনের আগাম তথ্য নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সরাসরি প্রদানের আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের সার্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ ধরনের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, অপরাধ দমন ও নিরাপত্তা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।