বাংলাদেশ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত?

বাংলাদেশ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত? – ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে একটি বিশ্লেষণ

টুইট প্রতি‌বেদন: বর্তমান বিশ্বে যুদ্ধের হুমকি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি যুদ্ধ প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, “যুদ্ধ প্রস্তুতি অনেক সময় যুদ্ধের দিকে নিয়ে যায়। কাজেই যুদ্ধ প্রস্তুতি নিয়েও একটা ঘোরতর আপত্তি। কিন্তু এমন বিশ্বে আমরা বাস করি, প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি আমাদের ঘিরে থাকে।

তো সেখানে প্রস্তুতি না নিয়ে থাকা এটা অসম্ভব হয়ে পড়ে। কাজেই এই পরিস্থিতির মধ্যে যুদ্ধের প্রস্তুতি না নেয়াটা আত্মঘাতী” ।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনী আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের প্রস্তুত করছে। রাজবাড়ীতে অনুষ্ঠিত একটি সামরিক মহড়ায় ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির অহংকার ও বিশ্বাসের জায়গা। আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আভিযানিক দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা যুদ্ধের জন্য সেনাসদস্যদের প্রস্তুত রাখতে হবে” ।

বাংলাদেশের সামরিক প্রস্তুতিতে আন্তর্জাতিক বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া বিভিন্ন সময়ে সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও যৌথ মহড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে। এই সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মন্তব্য বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুতির গুরুত্বকে সামনে নিয়ে এসেছে। যদিও বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত, তবে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি অপরিহার্য। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি করে চলেছে।