চীন-বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পর্ক দৃঢ়: মুসলিম বিশ্বের গুরুত্ব বেড়ে চলছে

  • চীন-বাংলাদেশ সামরিক সম্পর্ক জোরদার, বৈশ্বিক দক্ষিণের নেতৃত্বে মুসলিম বিশ্বের গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে

বিশ্ব ডেস্ক: বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে, চীন ও বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে, বিশেষ করে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ছাতার নিচে।

শান্তি, স্থিতিশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধ রক্ষার লক্ষ্যেই এ দুই দেশের সেনাবাহিনী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিশনে একযোগে কাজ করছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই সহযোগিতা শুধু জাতিসংঘের কর্মপরিধিতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি ভবিষ্যতের বৈশ্বিক কৌশলগত অংশীদারত্বের ভিত্তি গড়ে তুলছে।

চীনের বৃহত্তর ভূ-কৌশলিক লক্ষ্য হলো ‘ভবিষ্যতের জন্য মানবজাতির ভাগ্যগতি ভাগাভাগি করা’— অর্থাৎ বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে একটি ন্যায়সঙ্গত ও বহুমুখী বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা। এই লক্ষ্য অর্জনে মুসলিম বিশ্বকে চীন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখছে।

মুসলিম দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা, ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং বিশাল জনগোষ্ঠী বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন ভারসাম্য তৈরি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আজকের বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার পেছনে প্রধান বাধা হিসেবে কাজ করছে জায়োনিজম, হিন্দুত্ববাদ এবং তাদের মদতপুষ্ট আধিপত্যবাদী শক্তিসমূহ। এই শক্তিগুলো নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন, সামরিক আগ্রাসন এবং সাংস্কৃতিক দখলদারিত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিন, কাশ্মীর এবং বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে চলমান নিপীড়ন এর জ্বলন্ত প্রমাণ।

চীন এবং বাংলাদেশের মতো দেশগুলো, যারা শান্তি, সমতা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে, তারা এই আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। চীনের নেতৃত্বে এবং মুসলিম বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার মাধ্যমে একটি নতুন বৈশ্বিক জোট গঠিত হচ্ছে, যেখানে মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা, জাতিসমূহের সমতা এবং বৈশ্বিক শান্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্য সামনে রাখা হয়েছে।

বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তনের এই নতুন ধারা অনেকের কাছে আশার আলো হয়ে উঠছে। বিশ্বের মুক্তিকামী জনগণ চায়, আধিপত্যবাদ ও বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ হোক এবং মানবতার পক্ষে একটি ন্যায়ভিত্তিক, বহুমুখী, শান্তিপূর্ণ বিশ্ব প্রতিষ্ঠিত হোক।