নয়াদিল্লির দূতাবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন

ছবি- সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক : ভারতের নয়াদিল্লীতে যথাযথ মর্যাদায় নানান কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ হাই কমিশন। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার পর দীর্ঘ পরিক্রমায় সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লীর বাংলাদেশ হাই কমিশনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয় এবং বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসনীয় ও চ্যালেঞ্জিং বিভিন্ন তথ্য-পত্রের ভিত্তিতে একটি প্রামাণ্য চিত্র ও প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভি এম ভূবন কৃষ্ণ এভি এস এম।

ছবি- সংগৃহীত

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের হাই কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজুর রহমান, ভারতের সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) নিতিন আগরওয়াল, ভারতীয় সাবেক সেনাবাহিনী প্রধানের চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল দীপক কুমার (অব.), একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন দূতাবাসের জ্যৈষ্ঠ কূটনীতিক, স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, লেখক, সাংবাদিক, দূতাবাস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সশস্ত্র বাহিনীর দিবসের এ কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় হাই কমিশনার ও দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বাংলাদেশ–ভারতের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতার পাশাপাশি দেশে এবং দেশের বাইরে সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রগতি ও প্রশংসনীয় দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি লে. জেনারেল ভি এম ভূবন কৃষ্ণ প্রভূত উন্নতি ও অগ্রগতি অর্জন করায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনুকরণীয় বলে অবহিত করেন এবং দুই দেশ তথা বাহিনী এই সুন্দর সম্পর্ক আরও মজবুত ও টেকসই হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারত সরকার ও সে দেশের মানুষের ভূমিকা বাঙালি জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চিরদিন স্মরণ রাখবে। স্বাধীন বাংলাদেশকে ভারত প্রথম স্বীকৃতি দানকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসনীয় ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশে এবং দেশের বাইরে জাতিসংঘের সহযোগিতায় নিরলস কাজ করে সশস্ত্র বাহিনী এখন বিশ্বব্যাপী এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।