গাজায় আবারও ইসরায়েলি হা(মলা); একদিনেই প্রাণ গেল ৬৪ জনের

টুইট ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বশেষ হামলায় শুক্রবার দিনে অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।

হামলাটি শুরু হয় শুক্রবার ভোরে এবং চলে রাত পর্যন্ত। গাজা সিটি, উত্তর গাজা, মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে একযোগে চালানো হয় বিমান হামলা। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজার প্রধান শহর এবং উত্তরের বসতি এলাকাগুলো।

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফার কাছে শাবৌর ও তেল আস সুলতান এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী ঘাঁটি স্থাপন করে এই অভিযান চালায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় সূত্রগুলো।

শুধু এই একদিনের হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে ৬৪ জনের, আর এর মধ্য দিয়েই ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ, যাদের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ আবারও জানিয়েছেন, হামাসকে পরাজিত করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করাই তাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য। তার ভাষায়, “ইসরায়েল এখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।”

শুক্রবার ছিল খ্রিস্টানদের জন্য পবিত্র গুড ফ্রাইডে দিবস। এই দিনটিতেও গাজার খ্রিস্টানরা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে সীমিত আকারে পালন করেছেন ধর্মীয় আচার। স্থানীয় এক খ্রিস্টান নাগরিক ইহাব আয়াদ জানান, এবার তাদের অনেক আত্মীয়-পরিজনের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় মিলিত হওয়াটাও সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যাতে প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মি হন। এরপর থেকেই গাজায় শুরু হয় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান। জানুয়ারিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় অভিযান, যাতে গত এক মাসেই প্রাণ হারান আরও দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মহল বারবার সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানালেও, ইসরায়েল এখনো তাদের অবস্থানে অনড়। নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, “লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।”