মুরগির দাম কমলেও মাছের বাজারে অস্থিরতা, বাড়ছে চাহিদা

টুইট ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন বাজারে মুরগির দামে কিছুটা স্বস্তি দেখা গেলেও, মাছের বাজারে এখন অস্থিরতা তুঙ্গে। এক সপ্তাহের মধ্যে মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এদিকে, মুরগির দাম কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি মিললেও, বাজারে মাছের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।

মাছের দাম বেড়েছে, বিশেষত দেশি জাতের মাছ

মাছ বাজারে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে দেশি জাতের মাছের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে চিংড়ি, শিং, টেংরা, শোল এবং পুঁটির দাম কেজিতে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দেশি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৭০০-৮৫০ টাকা। শোল মাছের দাম বেড়ে ৮৫০ টাকায় পৌঁছেছে। তেলাপিয়া এবং পাঙাশের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল রয়েছে এবং ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজারে স্বস্তি

মুরগির বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। সোনালি মুরগি ২৫০-২৭০ টাকায় এবং দেশি মুরগি ৬৫০-৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের চেয়ে ২০-৩০ টাকা কম।

গরু ও খাসির মাংসের দাম স্থিতিশীল, তবে নাগালের বাইরে

গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে। গরুর মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে এবং খাসির মাংস ১,২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ ভোক্তাদের জন্য এসব মাংস এখনও নাগালের বাইরে।

ভোক্তাদের অভিযোগ ও সরকারের প্রতি আহ্বান

মাছ ও মাংসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে ভোক্তারা সরকারের প্রতি বাজার মনিটরিং জোরদার এবং সরবরাহ ব্যবস্থা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যসমূহের দাম না কমলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।

বাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরবরাহের অভাবের কারণে দাম বাড়ানো হচ্ছে। রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, “মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বাড়াতে হচ্ছে।” বনশ্রী বাজারের মুরগি বিক্রেতা মাহফুজ আলী বলেন, “ঈদের পর মুরগির চাহিদা বেড়েছে, তবে সরবরাহ ঠিক থাকায় দাম কিছুটা কমেছে।”

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, মাছের দাম শুনে অনেকেই মুরগির দিকে ঝুঁকছেন, তবে মাংসের দামও বেড়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।