গাজায় হামলা অব্যাহত, নি(হত) বেড়ে ২৩
টুইট ডেস্ক: অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর টানা হামলায় আরও অন্তত ২৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এর ফলে গাজায় চলমান আগ্রাসনে প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৫১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আল জাজিরার বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোর থেকে শুরু হওয়া নতুন দফার বিমান হামলায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। গাজাজুড়ে চিকিৎসা সূত্রগুলো বলছে, হামলার মাত্রা ও বিস্তৃতি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আহতদের অনেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ইসরায়েলের নতুন করে হামলা শুরু হলে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৬৩০ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ জনের বেশি। যদিও গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি-ছায়ার মতো লুকিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো নিখোঁজ রয়েছে হাজারো মানুষ, যাদের অনেককেই মৃত হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। ফলে মোট প্রাণহানির সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক এই হামলা কার্যত ভেঙে দিয়েছে জানুয়ারিতে ঘোষিত যুদ্ধবিরতি। আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১৯ জানুয়ারি গাজা থেকে আক্রমণ বিরত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল তেলআবিব, কিন্তু হামাসের সঙ্গে মতানৈক্য এবং সেনা প্রত্যাহার ইস্যুকে কেন্দ্র করে মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে পুনরায় শুরু হয় বোমাবর্ষণ।
গাজার ৮৫ শতাংশ জনগণ ইতোমধ্যেই বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং ভূখণ্ডটির প্রায় ৬০ শতাংশ অবকাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। যুদ্ধ, অনাহার, ওষুধ ও নিরাপত্তাহীনতার ভেতরে সেখানে প্রতিদিন লড়ছে লাখো মানুষ।
এদিকে হামাস জানায়, মার্কিন-ইসরায়েলি সৈনিক এডান আলেকজান্ডারকে পাহারা দেওয়া তাদের একটি ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ওই এলাকায় ইসরায়েলের সরাসরি বোমাবর্ষণের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একইসঙ্গে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) গণহত্যার মামলা চলমান রয়েছে।