গাজায় ইসরায়েলি বিমান হা’মলায় নি(হত) অন্তত ৩৮
টুইট ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা শহরের শেজাইয়া পাড়ায় একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবারের এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, নিহতদের মধ্যে অন্তত আটজন নারী ও আটজন শিশু রয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৮৫ ছাড়িয়ে গেছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ৩৪ জন নিখোঁজ বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের মধ্যে বহু নারী ও শিশুও রয়েছে।
বার্তাসংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ থেকে গাজায় আবারও ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরু করার পর এ পর্যন্ত প্রায় ১,৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৩,৭০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এর আগে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। প্রায় দুই মাস শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় থাকলেও মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে ফের বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজায় চলমান এই হামলা শুধু যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘনই নয়, বরং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তীব্র করেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অভিযানগুলোতে এখন পর্যন্ত ৫০ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি গাজায় হামলা আরও জোরদারের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের পরিকল্পনাও বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
এই প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। একইসঙ্গে, গাজায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচারের মুখোমুখি হয়েছে।