ওষুধ আমদানিতে শিগগিরই শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের

টুইট ডেস্ক: দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বাণিজ্যনীতি নিয়ে আগ্রাসী অবস্থান নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ওষুধ আমদানির ওপর “বড় ধরনের শুল্ক” আরোপের ঘোষণা দিয়ে বিশ্ববাজারে আবারও উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন তিনি।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটির এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “শিগগিরই আমদানিকৃত ওষুধের ওপর বড় শুল্ক বসানো হবে।” তার মতে, এই শুল্ক ওষুধ কোম্পানিগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম স্থানান্তরে উৎসাহিত করবে।

ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টরের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে শুল্ক আরোপের আওতার বাইরে রেখেছিল। তবে দ্বিতীয় মেয়াদে এসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেই নীতিতে পরিবর্তন এনেছেন।

চীনের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি শুল্কের উত্তেজনা-

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি চীনের সব পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকর হয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।

ট্রাম্প সতর্ক করেছেন, “চীন যদি এক দিনের মধ্যে এই শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে তাদের পণ্যের ওপর **আরও ৫০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ করা হবে।”

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট এ বিষয়ে বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মনোভাব স্পষ্ট-তিনি কোনো ধরনের চাপের কাছে নত হবেন না। তার নেতৃত্ব দৃঢ়, মেরুদণ্ড ইস্পাতের মতো শক্ত।”

ক্রমবর্ধমান শুল্কের পেছনে ট্রাম্প প্রশাসনের ধারাবাহিকতা-

১. ফেব্রুয়ারিতে: চীনা পণ্যে ১০% শুল্ক
২. মার্চে: আরও ১০% শুল্ক
৩. পরবর্তীতে: ৩৪% শুল্ক আরোপ
৪. সর্বশেষ ঘোষণা: আরও ৫০% শুল্ক
৫. সব মিলিয়ে মোট **১০৪% শুল্ক** বসেছে চীনা পণ্যের ওপর।

চীনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করে বলেছে, “ট্রাম্প একের পর এক ভুল করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের জবাবে চীনও কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে।”