ভারতে সোনার দাম হুড়মুড়িয়ে পড়তে পারে, নেমে আসতে পারে ৬১ হাজার রুপি
টুইট ডেস্ক: গত এক বছরে ভারতে সোনার দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ভারতের শেয়ার বাজার কিছুটা নিচে নামার কারণে অনেক বিনিয়োগকারী শেয়ার থেকে বেরিয়ে সোনায় বিনিয়োগ করেছেন। আর তাতে তারা যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন। কলকাতায় ৩ এপ্রিল ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৯৩ হাজার ৯২০ রুপি ছিল।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সোনার দাম অল্প সময়ের জন্যে এই উচ্চতায় থাকবে না। তারা বিশ্বাস করেন, আগামী দিনগুলোতে সোনার দাম ব্যাপকভাবে কমতে পারে এবং তা ৬১ হাজার রুপি পর্যন্ত নামতে পারে। এমনকি কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, সোনার দাম ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। এর ফলে ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৬০ হাজার রুপি হয়ে যেতে পারে।
মর্নিংস্টারের ইক্যুইটি বিশ্লেষক জন মিলস বলেন, ২০২৯ সালের মধ্যে সোনার দাম ৫৫ হাজার রুপি হতে পারে, তবে বর্তমানে এই দাম সংশোধন করে ৬০ হাজার রুপি পর্যন্ত নামার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
কেন কমবে সোনার দাম?
জন মিলসের মতে, সোনার দাম কমানোর কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, সোনার সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমতে পারে। সোনার দাম বাড়ানোর কারণে সোনার খনিগুলো উৎপাদন বাড়িয়েছে, এবং এই সরবরাহ বৃদ্ধি দামকে প্রভাবিত করতে পারে। এছাড়া, গত কয়েক মাসে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিরাপদ সম্পদ হিসেবে অনেক সোনা কিনেছে, যার ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এই চাহিদা বজায় থাকবে না, এবং চাহিদা কমলে সোনার দামও কমবে।
বাজারে সোনার দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, এবং মিলসের মতে সোনার বাজার স্যাচুরেশন পয়েন্টে পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ, সোনার দাম আর অনেকটা বাড়বে না। তার এই ভবিষ্যদ্বাণী সাপোর্ট করছে বাজারও, যেখানে সোনার খাতে অধিগ্রহণ ও সংযুক্তিকরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে, এটি মনে রাখা জরুরি যে, জন মিলস সোনার দাম নিয়ে নেতিবাচক ভবিষ্যদ্বাণী দেওয়ার জন্য পরিচিত। অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা সোনার দাম হ্রাস নিয়ে মিলসের সঙ্গে একমত নন।