বিএনপির ‘হাইব্রিড’ নেতাদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান
টুইট ডেস্ক: বিএনপির অভ্যন্তরে ‘হাইব্রিড’ নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন বা ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে গেছেন, তাদের অনেকেই এখন বিএনপির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসেছেন। একই সঙ্গে অনেকে দলীয় নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন। এ ধরনের নেতাদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএনপি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সাত মাসে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রায় ৩,২০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১,৮০০ বিএনপি নেতাকর্মী বিভিন্ন শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন, যার মধ্যে ৭০০ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ, ৮০০ জনকে বহিষ্কার, ৫০ জনের পদ স্থগিত এবং ১৫০ জনকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় হাইব্রিডদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি নতুন করে কাউকে দলে অন্তর্ভুক্ত করাও বন্ধ রাখা হয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “হাইব্রিড নেতাদের বিষয়ে আমরা সজাগ রয়েছি। যারা দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।”
বিএনপি হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে নতুন কিছু শর্ত আরোপ করেছে-
১. ২০১৭ সালের পর বিএনপির সদস্যপদ গ্রহণ করা ব্যক্তিরাই কেবল নবায়নের সুযোগ পাবেন।
২. যারা অতীতে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী ছিলেন, তারা বিএনপির সদস্য হতে পারবেন না।
৩. যাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাদের সদস্যপদ নবায়ন করা হবে না।
দলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও অনেকে অভিযোগ করেছেন যে, হাইব্রিডদের কারণে প্রকৃত ত্যাগী নেতারা কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। দলের বিভিন্ন কার্যালয় ও পোস্টারে হাইব্রিড নেতাদের আধিপত্য স্পষ্ট।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা আশ্বস্ত করেছেন যে, দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে এবং দলীয় ভাবমূর্তি নষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।