যে চারটি খেজুর সবচেয়ে দামি
টুইট ডেস্ক: রমজান মাসে ইফতারের টেবিলে খেজুর অপরিহার্য। এই সময় খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে দামেও পরিবর্তন আসে। চট্টগ্রাম শহরের পাইকারি এবং খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কিছু দামি খেজুর, যা রোজাদারদের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয়। এসব দামি খেজুরের মধ্যে চারটি খেজুর সবচেয়ে বেশি দামি।
প্রথমত, মেডজুল খেজুর রয়েছে, যা খেজুরের ‘রানি’ হিসেবে পরিচিত। এটি নানা সাইজে পাওয়া যায়। জাম্বো আকারের মেডজুলের দাম পাইকারিতে প্রতি কেজি ১,৪০০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১,৬০০ থেকে ১,৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। মধ্যম মানের মেডজুলের দাম পাইকারিতে ১,৩০০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১,৫০০ টাকায় পাওয়া যায়। ছোট আকারের মেডজুল পাইকারিতে ১,০০০ টাকা এবং খুচরায় ১,১০০ থেকে ১,১৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আজোয়া খেজুর, যা সৌদি আরবের মদিনা অঞ্চলে উৎপাদিত। ২০১৭ সালে, আজোয়াকে খেজুরের ‘রাজা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল। বর্তমানে এর দাম কিছুটা কমেছে, তবে এর দাম এখনো বেশ চড়া। বড় আকারের আজোয়া পাইকারিতে ১,০৫০ টাকা এবং খুচরায় ১,০০০ থেকে ১,৪০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে মাবরুম খেজুর, যা সৌদি আরব থেকে আমদানি হয়। এই খেজুরটি একটু লম্বাটে এবং শুকনো হয়। মাবরুমের দাম পাইকারিতে ১,১৫০ টাকা এবং খুচরায় ১,২০০ থেকে ১,৩৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়।
শেষে রয়েছে মরিয়ম খেজুর, যা সৌদি আরব, ইরান, তিউনিসিয়া, আলজেরিয়া এবং মিসর থেকে আমদানি হয়। সৌদি মরিয়মের দাম পাইকারিতে ১,০০০ থেকে ১,০৫০ টাকা এবং খুচরায় ১,২৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। ইরানি মরিয়ম কিছুটা সস্তা, যার দাম পাইকারিতে ৫০০ টাকা এবং খুচরায় ৬০০ টাকার মতো।
বাংলাদেশে দামি খেজুরের আমদানি ১৯৭৭ সাল থেকে বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে বিশ্বের ১৬টি দেশ থেকে প্রায় ৬১,০০০ টন খেজুর আমদানি হয়েছে, এর মধ্যে দামি খেজুরের অংশ মাত্র ৫ শতাংশ, অর্থাৎ ৩,০০০ টন।
এভাবে রোজার মৌসুমে দামি খেজুরের চাহিদা ও বাজারে তার স্থান অটুট থাকে।