শেখ হাসিনার চেয়ে বড় স্বৈরাচার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: রাবি শিক্ষার্থী
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘‘বেইমান’’ এবং ‘‘স্বৈরাচার বিশ্ববিদ্যালয়’’ বলে আখ্যা দিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফরিদুল ইসলাম। বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নেতৃত্ব, নিয়োগ ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ পালনের সময় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তারা প্রথমে জাতীয় নাগরিক কমিটির নামে দিয়ে পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি নাম দিয়ে প্রথমেই বৈষম্য করেছে। তাদের মূল কমিটিতে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাইদ যেখানে আন্দোলনের আতুন ঘর সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দিয়ে, চট্টগ্রাম, শাহ জালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিশ্বদ্যালয়সহ অন্যান্যদের বাদ দিয়ে তারা মূল কমিটি দিয়েছে ঢাবি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) পার্টি। এটাকে আমরা কোন ভাবেই জাতীয় নাগরিক পার্টি মনে করি না। এটাকে আমরা মনে করি ঢাবি পার্টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, সতাকলেজসহ প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয় যে ভাবে আন্দোলনকে জিইয়ে (উজ্জ্বীবিত) রেখেছিলো সেই আন্দোলনের সাথে তারা বেঈমানী করেছে। ঢাবি হচ্ছে জাতীয় বেঈমান এরা হচ্ছে জাতীয় স্বৈরাচার বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরো বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি কিন্তু আরেক স্বৈরাচারে হাতে আমরা পতিত হয়েছি সেটা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ গড়ি যেখানে সবার সমতা থাকবে, সেখানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে নেতৃত্ব দিবে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মিডিকেল, বুয়েট একই ভাবে নেতৃত্ব দিবে। আমরা দেখেছি এই আন্দোলনে সবার অবদান রয়েছে। আজকে মূল কমিটিতে কেউ নেই কোনো?। আমরা বলতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়জন মারা গেছে? কেউ মারা যায়নি কিন্ত মূল কমিটি দিয়েছে সব ঢাবি। আমরা চাই ডিসেন্ট্রালাইজড বাংলাদেশ গড়ে প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট,ন্যাশনালসহ যতগুলো স্কুল-কলেজ এই আন্দোলনে প্রত্যেকে সফল করেছে।তাদের প্রত্যেকের অংশগ্রহণ থাকবে। ঢাবি তারা সব জায়গায় অধিপত্য বিস্তার রেখেছে। ড. ইউনুসের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই শিক্ষার্থী রাজশাহীর দিকে নজন দিতে বলেন এবং পুনরায় ঢাবিকে জাতীয় স্বৈরাচার বলে বলেন শেখ হাসিনা ছিলো এক স্বৈরাচার তার চেয়ে বড় স্বৈরাচার ঢাকা বিশ্ববিদালয়।