তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টার পদত্যাগ: পরবর্তী দায়িত্বে কে?

টুইট ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর কে এই দুটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।সাধারণত উপদেষ্টার পদ শূন্য হলে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ন্যস্ত হয় এবং পরে তিনি উপদেষ্টাদের দপ্তর পুনর্বণ্টন করেন।

নতুন উপদেষ্টা নিয়োগের গুঞ্জন

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদে আজই দপ্তর পুনর্বণ্টনের সম্ভাবনা কম। তবে শিগগিরই নতুন উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হতে পারে। নাহিদ ইসলাম নিজেই বলেছেন, “আমার পরে কে দায়িত্ব নেবেন, সেটা ক্যাবিনেটের পরবর্তী সভায় ঠিক হবে।”

সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে সরকারের আরেক উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম দায়িত্ব পেতে পারেন বলে আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

কে এই মাহফুজ আলম?

মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন, তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট তিনি প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সেই আন্দোলনে তিনি রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্ব পালন করেন। গণ–অভ্যুত্থানের পরে ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক হিসেবেও কাজ করেন।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব কার হাতে যাবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পরই বিষয়টি নিশ্চিত হবে। তবে মাহফুজ আলমের নাম সামনে আসায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, তিনি এই পদে আসতে পারেন।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, আগামী কেবিনেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে এবং শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে।