মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে ৪৮ জন গ্রেফতার

টুইট ডেস্ক: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় বিশেষ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানা।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মোহাম্মদপুর থানার বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় এই বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ৪৮ জনের মধ্যে রয়েছেন পেশাদার ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, চোর এবং বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজানের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। অভিযানে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল), মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), পিআই এবং মোহাম্মদপুর থানার বিশেষ টিম অংশ নেয়।

অভিযানের সময় গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র ও অবৈধ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, এই বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বড় একটি অংশকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,”এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আরও কঠোর অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপরাধীদের নির্মূল করা হবে।”

স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুল হাকিম বলেন, “এই ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হলে ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা অনেকটাই কমবে।”

অপরাধ বিশ্লেষক ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, “বিশেষ অভিযান অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তবে এসব অপরাধীদের আইনি বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত ও কার্যকর প্রসিকিউশন নিশ্চিত করা জরুরি।”

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অতীত অপরাধ কর্মকাণ্ডের রেকর্ড যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে অপরাধীদের সক্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা জরুরি। তবে, শুধুমাত্র অভিযানই নয়, অপরাধ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করাও গুরুত্বপূর্ণ।