মা‌লিক কারাগারে, রাজশাহী‌তে ব্যাংক থেকে ৩৭ লাখ উত্তোলন

টুইট ডেস্ক: রাজশাহীর চন্ডিপুর মহল্লার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী হোসেন আলী অভিযোগ করেছেন, কারাগারে বন্দী অবস্থায় তাঁর তিনটি ব্যাংক হিসাব থেকে মোট ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ মোতাবেক, গ্রেপ্তারের সময় পুলিশ কর্তৃক জব্দ থাকা তাঁর মোবাইল ফোন থেকে ব্যাংকের চেক ক্লিয়ারেন্সের মাধ্যমে এই লেনদেন সম্পন্ন করা হয়েছে।

বাদী হোসেন আলী ৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ তে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাহমুদ হাসান শিশির, কর্মচারী মাহমুদ হাসান লিমন ও তন্ময় হোসেন, পাশাপাশি বোয়ালিয়া থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক আব্দুল আওয়ালকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. খালেকুজ্জামান জানান যে, ব্যাংকে চেকের স্বাক্ষর যাচাই-বাছাই করে টাকা প্রদান করা হয়েছে এবং অভিযোগ উঠলে ব্যাপারটি কমিটির মাধ্যমে তদন্ত করা হবে।

একইভাবে, আইএফআইসি ও ইউএসবি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকগণও জানান যে, ফোনে হোসেন আলীর সাথে যোগাযোগ করে তাঁদের মতে স্বাক্ষর তাঁরই মনে হয়েছে; তবে, অভিযোগ প্রাপ্তির পর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিষয়টি বিস্তৃতভাবে যাচাই করে দেখার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, চেক উত্তোলনের কাজ কোনো পৃথক লোক দ্বারা সম্পন্ন করা হয়েছিল এবং প্রাপ্ত কাগজপত্র পর্যালোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাদী দাবি করেন, কারাগারে বন্দী অবস্থায় মোবাইল ফোন জব্দ থাকার কারণে তিনি নিজে কখনও টাকা উত্তোলনের অনুমোদন দেননি; বরং, তাঁর অনুমতি ব্যতীত জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে এই অনধিকৃত উত্তোলন সম্পন্ন করা হয়েছে।

বর্তমানে মামলাটি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) তদন্তাধীন রয়েছে।

হোসেন আলী (বাদী) বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়ে বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেছেন।