বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের লকার খোলায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তার নামে থাকা লকার বা সেফ ডিপোজিট খোলার অনুমতি দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে এই প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও, লকার খোলার সময় একজন বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। লকার খোলার পর প্রাপ্ত অর্থ ও মূল্যবান সম্পদ জব্দের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন আদালতে আবেদন করেন, যাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের লকার খোলার অনুমতি চাওয়া হয়। শুনানি শেষে মামলার সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করে।
এর আগে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এস কে সুর) এর তিনটি লকার থেকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ, বিদেশি মুদ্রা এবং নগদ অর্থ জব্দ করে।
ওই লকারগুলো থেকে পাওয়া যায়,
৫৫ হাজার ইউরো
১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ ডলার
১ হাজার ৫ গ্রাম স্বর্ণ
৭০ লাখ টাকার এফডিআর
এর আগে, ২০২৪ সালের ২ অক্টোবর আদালত এস কে সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী, এবং মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়াও একই বছরের ২৪ আগস্ট তাদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেয় আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে আরও বেশ কিছু লকার খোলা হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।