আগামী বছর থেকে টঙ্গীতে সাদপন্থি নিষিদ্ধ
টুইট ডেস্ক: নানা জটিলতার পর এবারের মতো শর্তসাপেক্ষে তাবলিগ জামাতের সাদপন্থিদের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে আগামী বছর থেকে তারা টঙ্গীর ঐতিহাসিক ইজতেমা ময়দানে তাদের বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলিগি কার্যক্রম আয়োজন করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। উপসচিব আবু সাঈদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিশ্ব ইজতেমা-২০২৫ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরা নেজামের অনুসারীরা (মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের) আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু করে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের ইজতেমা সম্পন্ন করবে।
৬ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে শুরা পন্থিরা।
তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা সাদের অনুসারীরা)-এর বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব তারা ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করবে।
এই ইজতেমা আয়োজনের জন্য শর্ত হলো, আগামী বছর থেকে তারা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে কোনো ধরনের ইজতেমা বা তাবলিগি কার্যক্রম আয়োজন করতে পারবে না।
ইজতেমা শেষে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান শুরা নেজামের অনুসারীদের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাবলিগ জামাতের দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধের কারণে ইজতেমা আয়োজনে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে শুরা নেজাম পন্থিদের জন্য টঙ্গী ময়দান বরাদ্দ স্থায়ীভাবে নির্ধারিত হলো।
ধর্মীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ ইজতেমার সুষ্ঠু আয়োজন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তবে সাদপন্থিদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, “সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি বজায় রাখা এবং ইজতেমার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য।”