উপ-পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাসা দখলের অভিযোগ

টুইট ডেস্ক: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এ. এফ. এম তারিক হোসেন খানের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সরকারি বাসা অবৈধভাবে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছে সরকারি আবাসন পরিদপ্তর।

সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের চিঠি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের ১৩/৬ বাড়ির ৮/বি ফ্ল্যাটটি জোরপূর্বক দখলে নেন ডিসি তারিক। অভিযোগে বলা হয়, তিনি ৮-১০ জন পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবল নিয়ে ভবনের প্রাইভেট গার্ডের কাছ থেকে চাবি সংগ্রহ করে বাসাটি দখলে নেন এবং বরাদ্দ ছাড়াই বসবাস শুরু করেন।

এ ঘটনা বাংলাদেশ বরাদ্দ বিধিমালা ১৯৮২-এর ১৮(২)(বি) ধারা লঙ্ঘন করে। বিষয়টি নিয়ে আবাসন পরিদপ্তর কর্তৃপক্ষ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।

সূত্র জানায়, দখলকৃত বাসাটির পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী তারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি বাসা বরাদ্দের জন্য আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে সচিবের সভাপতিত্বে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে অভিযোগ রয়েছে, তারিক হোসেন কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করেই পেশিশক্তি প্রদর্শন করে বাসাটি দখল করেছেন।

আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক শহিদুল ইসলাম ভূঞা বলেন, “আমরা তাকে বাসাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য নোটিশ দিয়েছি; কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। আমরা ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠিয়েছি।”

অভিযোগ অস্বীকার করে ডিসি তারিক হোসেন বলেন, “জোর করে বাসায় উঠেছি, বিষয়টি ঠিক নয়।” তবে বাসায় বসবাস করার বিষয়টি স্বীকার করলেও বরাদ্দসংক্রান্ত কোনো তথ্য জানাননি। তিনি মন্তব্য করেন, “আমি পুলিশ নিয়ে জোর করে বাসায় উঠব কেন?”

আবাসন পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “এ ধরনের আচরণ পেশিশক্তির অপব্যবহার এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের উদাহরণ। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রয়োজন।”