তরুণরা নতুন দল করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে: তারেক রহমান
টুইট ডেস্ক: তরুণরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে বিএনপি তা স্বাগত জানাবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছে। এটি অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। গত দেড় দশকে এ তরুণ প্রজন্ম একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এ তরুণরা যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নতুন দল গঠন করে, বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে। তবে এটি হতে হবে স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক পথে, কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়।”
নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি নয়
নির্বাচনকে জনগণের ক্ষমতায়নের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল ক্ষমতার উৎস। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের পরাজিত করতে পারবে না।”
সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই জরুরি
তারেক রহমান বলেন, “সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় অনেক পরিবারের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সংসার চালানো। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভ্যাটের চাপ সাধারণ মানুষের জীবনে সংকট তৈরি করেছে। দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর এবং নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এটি অসহনীয় হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “জনগণের দুঃখ-দুর্দশা লাগবে, বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার পাশাপাশি জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তবর্তী সরকারের অন্যতম দায়িত্ব। তবে সরকার এখন পর্যন্ত বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ। জনগণের উপর ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে এ সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হওয়া উচিত।”
তারেক রহমান বলেন, “জনগণ বিশ্বাস করে, সর্বজন সমর্থিত নির্দলীয় অন্তর্বর্তী সরকারই বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্তি দিতে পারে। তবে সরকারের এই ব্যর্থতা জনগণের মনে প্রশ্ন তুলেছে-তাহলে কি সরকার অন্য কোনো ইস্যুতে বেশি মনোযোগী, নাকি সরকারই সক্ষম নয়।”
অন্তবর্তী সরকারের ব্যর্থতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।