পলাতক নেতাদের ২৬ মার্চ দেশে ফেরা উচিত: আওয়ামী লীগ নেতারা

টুইট ডেস্ক: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পাঁচ মাস পর ভারতে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মগোপনে থাকা নেতারা ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি ২০২৫) প্রকাশিত প্রতিবেদনে আ ক ম মোজাম্মেল হক, নাহিম রাজ্জাক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, পঙ্কজ দেবনাথ, সাইফুজ্জামান শিখর, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও মাহবুবুল আলম হানিফের বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

দলের বর্তমান পরিস্থিতি

নেতারা জানান, আওয়ামী লীগ বর্তমানে “ছিন্নভিন্ন ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে” রয়েছে। দলের এক-তৃতীয়াংশ নেতাকর্মী কারাগারে, এক-তৃতীয়াংশ দেশের বাইরে, এবং বাকিরা দেশের ভেতরে আত্মগোপনে আছেন।

নাহিম রাজ্জাক বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতারা ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি। জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। এখন কোনো বিচারিক অধিকার নেই। দেশে ফিরে নির্বাচনের দাবি জানালে সবাইকে কারাগারে পাঠানো হবে।”

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “দেশের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন ২০০-৩০০ কল পাই। আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলে বিচারিত হওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত।”

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যোগাযোগ

নেতারা জানান, শেখ হাসিনা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, “শেখ হাসিনা দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী এবং নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে কাজ করছেন।”

সিএ প্রেস উইং-এর প্রতিক্রিয়া

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদনকে “মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর” উল্লেখ করে সিএ প্রেস উইং জানিয়েছে, এটি সংঘবদ্ধ অপপ্রচারের অংশ।
প্রতিবেদনে যাদের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, তারা হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যায় অভিযুক্ত।

মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, “শেখ হাসিনার বিচার হলে অধ্যাপক ইউনূসকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। ৫ আগস্টের আগের হত্যাকাণ্ডের দায় শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের নয়।”

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, আত্মগোপনে থাকা নেতারা বিদেশে জনমত গঠনের জন্য ভারতের দিকে তাকিয়ে আছেন।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।