বিএনপির রাজনীতি: ভবিষ্যৎ কৌশল ও উত্তরণের পথ
বদিউল আলম লিংকন
সাবেক ছাত্রনেতা
নির্বাচনের জন্য এখনো আনুষ্ঠানিক সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি, তবে দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। তাদের মূল এজেন্ডা হলো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে ভারত বিরোধিতা, হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা, এবং ৯২% মুসলমানের ধর্মীয় চেতনা ধারণ করে তৌহিদী জনতাকে নিজেদের দলে ভিড়ানো। ছাত্রনেতারা শুধুমাত্র সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেই থেমে থাকছেন না, তারা ইসলামী জলসা-মাহফিলেও যোগ দিচ্ছেন।
এদিকে, আওয়ামী লীগের ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’ ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। জামায়াত, শূরা কৌশল অনুসরণ করে বিএনপিকে ঠেকিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। তারা বিগত ১৯৮৬ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগের কৌশল অনুসরণ করছে, যা তাদের রাজনৈতিক ফরমুলায় সহায়ক হতে পারে।
তবে প্রশ্ন উঠছে, বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? তারা ধর্ম নিরপেক্ষতার পথে যাবে, নাকি রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পক্ষ নিয়ে তৌহিদী জনতার সমর্থন নেবে? বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতি, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চেতনায় হবে, নাকি দলের অন্যান্য সিদ্ধান্তের পথে এগোবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছে।
যদিও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির জন্য এতো সহজ নয়। আমি গত কয়েক মাস ধরে বলছি, আপনারা যতো সহজ ভাবছেন, সামনের নির্বাচন এতো সহজ নয়। নিজের মনে যতই বড়াই করুন বিএনপির তো শাখা-প্রশাখা একদম গ্রাম পর্যন্ত আছে, অন্যদের কি আছে? এই তো বড়াই করছেন, তাই না। থাকতে পারে আপনার শাখা-প্রশাখা, আমাদের নেতা-কর্মীরা তৈরি করেছেন সেই শাখা-প্রশাখা, গ্রাম পর্যন্ত দলকে নিয়ে গেছে, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দলকে নিয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও জনগণ ম্যাটারস। সেই জনগণ হচ্ছে আমাদের শক্তি, আমাদের সমর্থন। জনগণ সাথে না থাকলে কি হয় ৫ আগস্ট বুঝিয়ে দিয়েছে।”
বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ও সম্ভাব্য কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করলে, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে আসে যা দলের সমর্থকদের মাঝে বিস্তৃত আস্থা তৈরি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী সফল কৌশল নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।
১. ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতি প্রতিশ্রুতি
বিএনপির জন্য একটি সম্ভাব্য কৌশল হতে পারে তাদের পুরনো ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা। এর মাধ্যমে তারা সেক্যুলার ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে, যারা ধর্মীয় চেতনার চেয়ে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে বেশি উদ্বিগ্ন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ধর্ম নিরপেক্ষ ধারাকে পুনরুজ্জীবিত করার মাধ্যমে দলটি আরও একটি বৃহত্তর ভোটব্যাংক তৈরি করতে পারে।
২. ধর্মীয় চেতনা এবং তৌহিদী জনতার সমর্থন
বিএনপির আরেকটি কৌশল হতে পারে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পক্ষে অবস্থান নেওয়া, যা তৌহিদী জনতার সমর্থন আনতে সহায়ক হতে পারে। জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হলে, তা বিএনপিকে ইসলামী জনগণের কাছে জনপ্রিয়তা এনে দিতে পারে।
তবে, বিএনপিকে এই পথ নিতে গেলে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সমীকরণের দিকে খুবই সাবধানে এগিয়ে যেতে হবে, যাতে দলটি ধর্মীয় মৌলবাদী রাজনীতির মধ্যে আটকে না যায়।
৩. আওয়ামী লীগের সমালোচনা ও ক্ষমতায় ফিরতে বিরোধী জোট গঠন
বিএনপি আওয়ামী লীগকে সমালোচনা করতে পারে তাদের ব্যর্থতার কারণে। সাড়ে ১৫ বছর যাবৎ দোর্দণ্ড প্রতাপে ক্ষমতায় টিকে থাকা একজন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবেন সেটি অনেক ধারণাই করতে পারেননি। সোমবার (৫ আগস্ট ২০২৪) বেলা আড়াইটার দিকে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বঙ্গভবন থেকে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দেশ ছাড়েন। সেই সরকারী দল আওয়ামী লীগ এখন ‘রাজনৈতিক মৃত্যু’র মুখে, যা বিএনপির জন্য একটি সুযোগ হতে পারে। বিএনপি বিরোধী জোটের, যেমন জামায়াত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গঠন করতে পারে।
৪. শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের চেতনায় অগ্রগতি
বিএনপির পুরনো রাজনৈতিক অঙ্গীকারের দিকে ফিরে যাওয়া, বিশেষ করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। বিএনপি তার শাসনকালে প্রতিষ্ঠিত সমৃদ্ধি এবং জাতীয় স্বার্থের প্রতি একসাথে দাঁড়িয়ে দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতার নীতি অনুসরণ করার মাধ্যমে দলটি ঐতিহ্য এবং জনগণের আস্থা ফিরে পেতে পারে।
৫. সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক নীতি
বিএনপি একটি সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করে দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণকর কর্মসূচি প্রণয়ন করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, চাকরি সৃষ্টির সুযোগ, এবং বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে, যা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াবে।
৬. নির্বাচনী কৌশল ও তৃণমূল সমর্থন
বিএনপি যদি নির্বাচনী প্রস্তুতি নেয়, তবে তাদের তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের নেতারা জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য নির্বাচনী কর্মসূচি তৈরি করতে পারেন, যেমন বাড়ি বাড়ি প্রচারণা, জনসমাবেশ, এবং সামাজিক মিডিয়ায় কার্যকর উপস্থিতি।
৭. প্রশাসনিক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি
দেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে সংস্কার এনে, তারা একটি স্বচ্ছ ও জনবান্ধব সরকার প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। বিশেষত বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা ও কার্যকর আইন প্রয়োগের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা তাদের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।
৮. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও বৈদেশিক নীতি
বিএনপি তাদের আন্তর্জাতিক কূটনীতি এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন কৌশল গ্রহণ করতে পারে। বিদেশি শক্তির কাছে বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে তুলে ধরার মাধ্যমে বৈদেশিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির সুযোগ তৈরি করতে পারে।
৯. ভোটারদের মধ্যেকার বিভেদ দূরীকরণ
বিএনপি যদি দেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ দূর করতে চায়, তবে তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত একতাবদ্ধ ভোটারদের সমর্থন পাওয়া। ধর্মীয় বা জাতিগত ভিত্তিতে বিভক্ত হওয়া জনগণের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এক বড় চ্যালেঞ্জ। দলটি যদি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের স্বার্থে কথা বলে এবং তাদের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা তৈরি করে, তবে তারা বৃহত্তর জনগণের সমর্থন লাভ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দলটি প্রতিশ্রুতি দিতে পারে একটি ন্যায়সঙ্গত এবং শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য যেখানে ধর্মীয়, জাতিগত বা রাজনৈতিক পরিচয় ভিত্তিতে বৈষম্য থাকবে না।
১০. শাহবাগ আন্দোলন ও তরুণ প্রজন্মের সাথে সংযোগ
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে একটি বড় পরিবর্তন আসছে, এবং তাদের কণ্ঠস্বর এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিএনপি যদি তরুণদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াতে পারে এবং তাদের সমস্যাগুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে পারে, তবে তারা নতুন ভোটারের সমর্থন পেতে পারে। বিশেষত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তরুণদের জন্য সমর্থনমূলক কর্মসূচি এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শাহবাগ আন্দোলন এবং অন্যান্য তরুণদের নেতৃত্বাধীন সংগঠনের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারলে, এটি দলের অবস্থান শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।
১১. সংঘর্ষমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ গঠন
রাজনৈতিক সহিংসতা, অবরোধ ও হরতাল একসময় বিএনপির প্রচলিত কৌশল ছিল, তবে বর্তমানে এই ধরনের কার্যকলাপ দেশবাসীর জন্য অশান্তি সৃষ্টি করে। বিএনপি যদি সংঘর্ষমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিতে পারে, তবে সাধারণ জনগণের মধ্যে তাদের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পাবে। দেশের প্রতিটি মানুষ নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়, আর বিএনপি যদি এই পরিবেশের সৃষ্টিকারী হয়, তবে তা তাদের সমর্থন আনতে সক্ষম হতে পারে।
১২. ভোটার তালিকা সংস্কার ও নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপি যদি ভোটার তালিকা নিয়ে সহযোগীতা করে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতার পক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নেয়, তবে তারা জনসাধারণের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে পারে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে শক্তিশালী কর্মসূচি গ্রহণ করা জরুরি।
১৩. আন্তর্জাতিক মহলে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা
বিশ্ব রাজনীতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিকে লক্ষ্য রেখে বিএনপি তাদের বিদেশনীতি পুনরায় সংজ্ঞায়িত করতে পারে। তারা যদি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা, অর্থনীতি এবং বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন কৌশল গ্রহণ করে, তবে এটি দলের রাজনৈতিক অবস্থানকে আন্তর্জাতিক স্তরে আরও দৃঢ় করবে। বিশেষ করে, দেশের নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষায় কোনো ধরনের আপস না করে আন্তর্জাতিক শক্তির সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা জরুরি।
১৪. সরকারি প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ
বিএনপি যদি নির্বাচনে জয়ী হতে চায়, তবে তারা সরকারের প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। জনকল্যাণমূলক প্রকল্প গ্রহণ করে, যেমন স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নয়ন, ইত্যাদি পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রতি অবিচল সমর্থন তৈরি করতে পারে। উন্নত নাগরিক সুবিধা প্রবর্তন করা, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগণের জন্য, তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে পারে।
১৫. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে জনগণের সাথে যোগাযোগ
আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দেশের রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। বিএনপি যদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে সক্রিয় থাকে এবং জনগণের সমস্যা ও চাহিদা অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করে, তবে তা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সহায়ক হবে। ডিজিটাল মাধ্যমে বিএনপির বার্তা ছড়িয়ে দিয়ে তরুণ ও মিডিয়া সচেতন জনগণের কাছে পৌঁছানো যাবে।
১৬. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার সহায়তা এবং চাপ প্রয়োগ
বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলোর সহায়তা নিয়ে, বিএনপি দেশের অভ্যন্তরীণ গণতান্ত্রিক পরিবেশের উন্নতির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারে। দলটি আন্তর্জাতিকভাবে নিজের অবস্থান শক্তিশালী করতে পারলে, তা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের দাবিকে বৈধতা প্রদান করবে এবং দেশীয় জনগণের মধ্যে তারা একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে।
১৭. বিএনপির ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা
দলের ঐতিহ্যও রাজনৈতিক ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিএনপি তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিষ্কার করতে পারে। ইতিহাসে বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতারা দলটির কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাদের কাজের প্রতি শ্রদ্ধা ও নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি দলের অভ্যন্তরীণ সংহতি বজায় রাখে এবং জনগণের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
১৮. রাজনৈতিক মনোনয়ন ব্যবস্থা ও দলীয় শৃঙ্খলা
দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রেখে, তাদের রাজনৈতিক মনোনয়ন ব্যবস্থা কার্যকরী করা দরকার। নির্বাচনের সময় যারা দলের হয়ে প্রার্থী হবেন তাদের নির্বাচন ও মনোনয়নের ক্ষেত্রে কোন ধরনের দলীয় পক্ষপাতিত্ব যেন না ঘটে, তার জন্য মনোনয়ন পদ্ধতি ও দলীয় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা দরকার।
পরিশেষে, বিএনপির সামনে সম্ভাবনাময় ভবিষ্যত রয়েছে, তবে তাদের কাছে এখন সময় এসেছে সঠিক কৌশল গ্রহণ করার। দলটি যদি দেশের জন্য ন্যায্য ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে তা তাদের শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে সাহায্য করবে।