বিএসএফের গুলিতে ১১ বছরে ২৮৯ বাংলাদেশি নিহত

টুইট ডেস্ক: গত ১১ বছরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে ২৮৯ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। ২০১৪-২০২৪ পর্যন্ত প্রকাশিত আসকের প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে।

“বিগত সরকারের সময় দুই দেশের সম্পর্কের কারণে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড বা ফেলানী হত্যার বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ হয়নি।”

১৪ বছর আগে, কুড়িগ্রামের দুর্গম অনন্তপুর সীমান্তে ফেলানী খাতুন নামে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে বিএসএফ হত্যা করে সীমান্তের কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখে। অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়। এই হত্যাকাণ্ডের পরেও, ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বিচার পাননি।

ফেলানীর মৃত্যু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের বর্বরতা তুলে ধরে।

বিএসএফের বর্বরতার চিত্র স্পষ্ট হয়েছে আসকের প্রতিবেদনগুলোতে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ২৮৯ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এই ধরনের হত্যাযজ্ঞের একমাত্র উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্ত।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আব্দুল হামিদ, যিনি ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ হাইকমিশন, দিল্লি-তে ডিফেন্স অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, বলেন, “বিগত সরকারের সময় দুই দেশের সম্পর্কের কারণে বিএসএফের হত্যাকাণ্ড বা ফেলানী হত্যার বিষয়ে জোরালো প্রতিবাদ হয়নি।”

তিনি আরও জানান, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে চাইলেও দমন-পীড়নের মুখে পড়েছে।