বিবিসি’র রিপোর্ট মিথ্যাভাবে প্রচার করায় ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ সরানোর নির্দেশ
টুইট ডেস্ক: দু’মাস আগেই টেক জায়ান্ট অ্যাপল লঞ্চ করেছিলো তাদের বহুল প্রতীক্ষিত ফিচার ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।
তবে, লঞ্চ করার পরপরই প্রতিষ্ঠানটিকে একের পর এক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সম্প্রতি, প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস অ্যাপলকে তার নতুন প্রবর্তিত ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ বৈশিষ্ট্যটি সরিয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিউজ এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেস ফ্রিডম গ্রুপ রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের এমন অনুরোধের পেছনে রয়েছে বড় একটি কারন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (বিবিসি)-র একটি সংবাদের মিথ্যা হেডলাইন তৈরি করায় ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ ফিচারটি বাদ দেয়ার অনুরোধ করা হয়।
বিবিসি’র রিপোর্টে ‘লুইগি ম্যানগিয়োন নিজেকে গুলি করেছেন’, এমন কিছুই বলা হয়নি। কিন্তু ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ বিবিসি ‘র প্রতিবেদনের শিরোনাম ভুলভাবে তৈরি করে গ্রহকদের কাছে পাঠিয়ে দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
এমন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া আসার পেছনে প্রধান কারন হচ্ছে বিবিসি’র একটি আলোচিত রিপোর্ট। সম্প্রতি, ইউনাইটেউ হেলথ কেয়ারের চীফ এক্সিকিউটিভকে খুন করার পেছনে প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে লুইগি ম্যানগিয়োন-কে। তবে, ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি মিথ্যা নটিফিকেশন তৈরি করেছে এবং সকল অ্যাপল ইউজারদের পাঠিয়েছে যেখানে বলা হয়েছে ‘লুইগি ম্যানগিয়োন নিজেকে গুলি করেছেন’, যা সম্পূর্ণরূপে ভুল। প্রকৃতপক্ষে, বাস্তবে আসামি লুইগি এমন কিছুই করেননি। এমন স্পর্শকাতর সংবাদ ভুলভাবে তৈরি করে গ্রাহকদের কাছে কোন প্রকার মনিটর না করে পাঠানোয় বেশ চটেছেন সাংবাদিকরা।
বিবিসি জানিয়েছে যে তারা ইতোমধ্যে ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’এর সমস্যাটি সমাধানের জন্য অ্যাপলের সাথে যোগাযোগ করেছে। তবে অ্যাপল বিবিসি’র অভিযোগের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের প্রযুক্তি ও সাংবাদিকতা ডেস্কের প্রধান ভিনসেন্ট বার্থিয়ার অ্যাপলকে “এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বৈশিষ্ট্যটি সরিয়ে দিয়ে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।”
বার্থিয়ার একটি বিবৃতিতে বলেছেন, “এআইগুলো সম্ভাব্যতা নির্ণায়ক যন্ত্রমাত্র। তবে, তথ্য উপাত্তগুলো পাশা খেলার গুঁটি নয়। সুতরাং এআই দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তথ্যের স্বয়ংক্রিয় উত্পাদনের কারনে মিডিয়া আউটলেটগুলো জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়। যেকোন অপতথ্য জনগণের সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকারকে আঘাত করে।”
সাংবাদিকদের সংস্থাটি বলেছে যে এটি “নতুন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কারনে মিডিয়া আউটলেটগুলো খুব উদ্বিগ্ন। এছাড়াও জনসাধারণের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য তৈরি করার ক্ষেত্রে এআই খুব অপরিপক্ক এবং এটির ব্যবহারের জন্য বাজারে অনুমতি দেয়া উচিত নয়।”